আতঙ্কে সবাই! মা-কে বাঁচাতে মরিয়া গিন্নি, আসছে সিজন ৩!

শিরোনাম: ‘গিনি অ্যান্ড জর্জিয়া’র তৃতীয় সিজনে মা-মেয়ের টানাপোড়েন, মুক্তি ৫ই জুন

নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজ ‘গিনি অ্যান্ড জর্জিয়া’র তৃতীয় সিজন আসতে চলেছে আগামী ৫ই জুন। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, মা জর্জিয়া খুনের দায়ে অভিযুক্ত এবং তার বিচার চলছে। এই ঘটনায় মেয়ে গিনির জীবনে নেমে আসে চরম অনিশ্চয়তা।

মায়ের পাশে থাকার চেষ্টা করলেও, সমাজের চোখে সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তার।

ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায়, জর্জিয়ার বিয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বন্ধু এলেন বলেন, “তোমার বিয়েটা অন্যরকম ছিল, মনে রাখার মতো।” উত্তরে জর্জিয়া বলেন, “বিশেষ করে যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো, সেই দৃশ্যটা তো ভোলার নয়।”

গিনির মনে হয়, স্কুলের সবাই যেন তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। বান্ধবী ম্যাক্স সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বলে, “কলেজের প্রবন্ধ তো রেডি হয়েই আছে।” কিন্তু এতে গিনির মন ভালো হয় না।

সে হতাশ হয়ে বলে, “আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, এই মুহূর্তে আমার জীবনটা এমন।” ম্যাক্সও চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং অন্য দুই বন্ধু অ্যাবি ও নোরাকে জানায় গিনির মানসিক অবস্থার কথা।

অন্যদিকে, জর্জিয়াও কম হতাশায় নেই। তিনি জানেন, সবাই তাকে একজন “হিংস্র, উন্মাদ” মানুষ ভাবে। আইনজীবীর কথা শুনে তার দুশ্চিন্তা আরও বাড়ে।

আইনজীবী তাকে জানান, “ফার্স্ট-ডিগ্রি মার্ডারের” শাস্তি হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

পরিস্থিতি হালকা করার জন্য জর্জিয়া বন্ধু জো’কে বলেন, “ভাগ্যিস, এর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না।” কিন্তু পরক্ষণেই তিনি বুঝতে পারেন, “যদি জেলে যেতে হয়, তাহলে সেটাই হবে সবচেয়ে খারাপ।”

গিনি মায়ের প্রতি সবসময়ই অনুগত। সে জানায়, “আমি সবসময়ই জানতাম মা অন্যরকম।” অন্যরা যখন জর্জিয়াকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, গিনি তখন মায়ের পাশে থাকে।

জিয়নের (গিনির বাবা) কাছে সে দৃঢ় কণ্ঠে জানায়, “মায়ের আমাকে দরকার। তোমরা পুরো গল্পটা জানো না।”

গিনির সৎ বাবা পলও ঘটনার আসল কারণ জানতে চান। তিনি জর্জিয়াকে বলেন, “আর কোনো গোপন কথা নয়।”

তবে, গিনির মনেও কিছু দ্বিধা তৈরি হয়। সে বলতে থাকে, “আমি সবার কাছে আমার মায়ের হয়ে কথা বলেছি। তাকে বাঁচানোর জন্য এত চেষ্টা করছি, কিন্তু আমি জানি না, এটা ঠিক করছি কিনা।”

ট্রেলারের শেষে জর্জিয়া গিনিকে মনে করিয়ে দেন, “আমরা একসঙ্গে আছি, হয় একসঙ্গে বাঁচব, না হয় মরব।” গিনির মনে তখন একটাই প্রশ্ন, “কোথায় যাচ্ছি আমরা, আর কেনই বা মরতে হবে?”

দর্শকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, মা ও মেয়ের এই কঠিন সময়ে তাদের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা দেখার জন্য।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *