শিরোনাম: যুগলের মনোমালিন্য: প্রেমিক কি প্রেমিকার সাথে হেডফোন শেয়ার করতে রাজি হবেন?
প্রেমের সম্পর্কে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মতের অমিল হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সামান্য একটি হেডফোন শেয়ার করা নিয়ে যদি সম্পর্কের গভীরতাতেই চিড় ধরে, তাহলে কেমন হয়?
সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। টিম এবং লীলার মধ্যে হেডফোন শেয়ার করা নিয়ে তৈরি হয়েছে এক গুরুতর বিতর্ক।
টিম নামের এক ব্যক্তি তাঁর প্রেমিকা লীলার সঙ্গে গত তিন বছর ধরে সম্পর্কে আছেন। তাঁদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকলেও, হেডফোন শেয়ার করার বিষয়ে টিমের তীব্র আপত্তি। তাঁর মতে, এটা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।
তিনি মনে করেন, কারও ব্যবহৃত ইয়ারফোন ব্যবহার করাটা অনেকটা তাঁর টুথব্রাশ ব্যবহারের মতো। লীলার কান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও তিনি সন্দিহান।
অন্যদিকে, লীলা মনে করেন, ভালোবাসার সম্পর্কে এমন খুঁটিনাটি বিষয়ে আপত্তি করাটা খুবই অপ্রত্যাশিত। তিনি বলেন, চুম্বন থেকে শুরু করে একসঙ্গে সিনেমা দেখা—কত কিছুই তো তাঁরা করেন।
তাঁর মতে, হেডফোন শেয়ার করা ভালোবাসারই একটি অংশ। লীলার মতে, টিম একটু বেশিই স্বাস্থ্য সচেতন, তাই তাঁর এই আচরণ।
তবে, এই বিতর্কে শুধু এই যুগলই জড়িত নয়। সাধারণ মানুষও তাঁদের এই আলোচনায় নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন।
অনেকের মতে, লীলার উচিত টিমের ব্যক্তিগত পছন্দের প্রতি সম্মান জানানো। কারণ, সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াটা জরুরি।
আবার কেউ কেউ মনে করেন, হেডফোন শেয়ার করার মাধ্যমে এক ধরনের মানসিক সংযোগ তৈরি হয়, যা ভালোবাসার সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলে।
এই প্রসঙ্গে, পাঠকদের মধ্যে অনেকেই তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। কারো কারো মতে, একসঙ্গে ভ্রমণের সময় হেডফোন শেয়ার করা খুবই রোমান্টিক।
আবার কেউ মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে এই ধরনের জিনিসপত্র আলাদা রাখাই ভালো।
আরেকটি বিষয় হলো, টিমের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ। তিনি জানান, সাঁতার কাটার কারণে তাঁর কানে কিছু সমস্যা হয়েছিল।
তাই তিনি চান না, হেডফোন শেয়ার করার মাধ্যমে কোনো ধরনের সংক্রমণ হোক।
এই বিতর্কের শেষ কোথায়, তা জানতে অনলাইনে একটি পোল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে পাঠকেরা তাঁদের মতামত জানাতে পারবেন।
আপনারা কি মনে করেন, লীলার হেডফোন ব্যবহার করা উচিত, নাকি টিমের আপত্তিকে সম্মান জানানো উচিত? আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে পারেন।
গত সপ্তাহে, আমরা একটি প্রশ্ন করেছিলাম—নীল নামের একজন ব্যক্তি তাঁর মেয়ের গতিবিধি ফোনে ট্র্যাক করবেন কিনা।
সেই বিষয়ে ৯৭ শতাংশ পাঠকই ‘না’ ভোট দিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান