নিউ ইয়র্ক সিটির কাছেই প্রকৃতির মাঝে অন্যরকম অবকাশ: গ্ল্যাম্পিং-এর অভিজ্ঞতা
গরমের ছুটি অথবা অল্প কয়েকদিনের অবসর – যারা প্রকৃতির কাছাকাছি, শহরের কোলাহলমুক্ত পরিবেশে সময় কাটাতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য নিউ ইয়র্ক সিটির কাছেই গড়ে উঠেছে এক অসাধারণ গন্তব্য। এখানে সাধারণ ক্যাম্পিং-এর পরিবর্তে গ্ল্যাম্পিং-এর (glamorous camping) সুযোগ রয়েছে, যা আরাম এবং প্রকৃতির এক চমৎকার মিশ্রণ।
কালেক্টিভ রিট্রিটস গভর্নরস আইল্যান্ড নামের এই রিসোর্টটি সম্প্রতি তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। ম্যানহাটন থেকে মাত্র আট মিনিটের ফেরি রাইডে গভর্নরস আইল্যান্ডে পৌঁছে যাওয়া যায়। এখানে প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করা যায়।
আবাসনের জন্য এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিকল্প – বিলাসবহুল তাঁবু, ছোট ছোট কেবিন এবং কাঁচ দিয়ে ঘেরা স্যুইট। প্রতিটি স্থানে আরামদায়ক বিছানা, ব্যক্তিগত বাথরুম এবং নিউ ইয়র্কের স্কাইলাইন, স্ট্যাচু অফ লিবার্টির মতো সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল ‘সামিট স্যুইট’, যেখানে বিশেষ আসবাবপত্র, বিশাল স্থান এবং স্পা-এর মতো সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান।
গ্ল্যাম্পিং-এর পাশাপাশি, এখানে বিনোদনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। বিশাল লনে খেলাধুলা, হ্যামকে শুয়ে বিশ্রাম অথবা ফায়ার পিটে বসে বন্ধুদের সাথে গল্প করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও, যোগা ও লাইভ মিউজিকের মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়। যারা একটু বেশি ঘুরে বেড়াতে চান, তাদের জন্য রয়েছে হাইকিং ও বাইকিং-এর ব্যবস্থা। ঐতিহাসিক স্থান – ফোর্ট জে ও ক্যাসেল উইলিয়ামস-এর মতো জায়গাগুলোতে ঘুরে আসা যেতে পারে।
খাবার-দাবারের জন্য রয়েছে ‘থ্রি পিকস লজ’। এখানে স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়, যা উপভোগ করার সময় আপনি লিবার্টি আইল্যান্ড ও হারবারের সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারবেন। সকালের নাস্তার পাশাপাশি, বিকেল ৩টা থেকে সানসেট টেরাসে পানীয় উপভোগ করারও সুযোগ রয়েছে।
যারা সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে চান, তাদের জন্য রয়েছে কিউসি এনওয়াই স্পা-এর সুবিধা। এখানে বহিরঙ্গন পুল, সনা এবং স্টিম রুমে সময় কাটানো যেতে পারে। সেইসাথে, ম্যাসাজ-এর ব্যবস্থাও রয়েছে।
এই গ্ল্যাম্পিং-এর অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সুযোগ থাকছে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত। জনপ্রতি রাতের খরচ শুরু হচ্ছে প্রায় $249 থেকে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭,০০০ টাকার সমান (পরিবর্তনশীল বিনিময় হার)। এই খরচের মধ্যে ফেরি পরিষেবা, সাধারণ স্থানে ওয়াইফাই, প্রতিদিনের ব্রেকফাস্ট এবং রাতের বেলা স্মোরস (marshmallow roasted over a fire) অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন হবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে আমেরিকান দূতাবাস অথবা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করুন।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার।
