গুগল ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ছাড়া সংগ্রহ করার অভিযোগে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে রাজি হয়েছে। শুক্রবার টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন এই ঘোষণা করেন। তিনি জানান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে একটি বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা ব্যবহারকারীর অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করে লাভবান হতে না পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটন বলেন, “টেক্সাসে, বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দীর্ঘদিন ধরে গুগল তাদের বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের গতিবিধি, ব্যক্তিগত অনুসন্ধান এবং এমনকি তাদের কণ্ঠস্বর ও মুখের ছবি গোপনে সংগ্রহ করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং জিতেছি।”
২০২২ সালে টেক্সাস রাজ্যের পক্ষ থেকে গুগলের বিরুদ্ধে লোকেশন ডেটা, ব্যক্তিগত ব্রাউজিং এবং বায়োমেট্রিক ডেটা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। রাজ্য সরকার যুক্তি দেয়, গুগল “বেআইনিভাবে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ” করেছে।
প্যাক্সটন উল্লেখ করেন, গুগল তাদের গুগল ফটোস এবং গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো পণ্য ও পরিষেবার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে কণ্ঠস্বর এবং মুখের আকারের রেকর্ডও রয়েছে।
গুগলের মুখপাত্র হোসে কাসটানেডা জানিয়েছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে পুরনো অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি হয়েছে, যার কিছু তাদের পণ্য নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং যা ইতিমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা বিষয়টির সুরাহা করতে পেরে খুশি এবং আমরা আমাদের পরিষেবাগুলোতে শক্তিশালী গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি করতে থাকব।”
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, এই নিষ্পত্তির ফলে তাদের পণ্যগুলোতে কোনো নতুন পরিবর্তন আনতে হবে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটন জানিয়েছেন, ডেটা-গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে গুগলের সঙ্গে হওয়া এই চুক্তি কোনো রাজ্যের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা।
এর আগে, গত দুই বছরে গুগল টেক্সাসের সঙ্গে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছেছিল। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হওয়া একটি চুক্তিতে গুগল তাদের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় বাধা দেওয়ার অভিযোগের নিষ্পত্তিতে $৭০০ মিলিয়ন দিতে রাজি হয়।
এছাড়াও, মেটা’ও ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক ডেটা অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের অভিযোগে টেক্সাসের সঙ্গে ১.৪ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস