বিদেশ: প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ বন্ধ করতে প্রস্তুত সরকার

শিরোনাম: বিদেশের মাটিতে প্রিমিয়ার লিগ: ব্রিটিশ সরকারের বাধার প্রস্তুতি

বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (EPL)। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদেরও এই লিগের প্রতি আগ্রহ অনেক। এবার শোনা যাচ্ছে, এই লিগের ম্যাচগুলো হয়তো খেলা হতে পারে দেশের বাইরে।

তবে, এমন একটি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। খবর অনুযায়ী, সরকার চাইছে এমন একটি আইন আনতে যা প্রিমিয়ার লিগকে তাদের ম্যাচগুলো অন্য দেশে আয়োজন করা থেকে বিরত রাখবে।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ফুটবল বিষয়ক একটি বিলের খসড়ায় এই সংক্রান্ত ধারা যোগ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, সংসদ সদস্যরা মনে করছেন, বর্তমানে বিলে থাকা একটি ধারা যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।

সেই কারণে, খেলার স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি একেবারে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি সংশোধনী আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সাধারণত, ক্লাবগুলো তাদের মাঠের খেলা অন্য কোথাও নিতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। নতুন আইনে, এই বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে তোলার কথা বলা হচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে এখনো সরাসরি কোনো মন্তব্য করা হয়নি, তবে তারা এই ধরনের প্রস্তাবের প্রতি সহানুভূতিশীল।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ফুটবল সমর্থকগোষ্ঠী। তাদের আশঙ্কা, ক্লাবগুলো তাদের বিপুল জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে বিদেশে খেলা আয়োজন করতে পারে। এই ধরনের পদক্ষেপ ঐতিহ্য ভেঙে দেওয়ার সামিল হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।

ইতিমধ্যে, লিভারপুলের চেয়ারম্যান টম ওয়ার্নার এর আগে নিউইয়র্ক, টোকিও, লস অ্যাঞ্জেলেস, রিয়াদ এবং রিও ডি জেনিরোর মতো শহরে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।

অন্যদিকে, প্রিমিয়ার লিগের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মাস্টার্স গত বছর জানিয়েছিলেন, তাদের বিদেশে খেলা আয়োজনের কোনো পরিকল্পনা নেই। যদিও ফিফা’র নিয়ম পরিবর্তনের কারণে এই বিষয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

ফিফা’র নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের ঘরোয়া লিগের ম্যাচ অন্য দেশে আয়োজন করা যায় না। তবে, এই নিয়মে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, স্প্যানিশ লা লিগা এবং ইতালিয়ান সিরি আ-ও তাদের ম্যাচগুলো বিদেশে আয়োজন করতে আগ্রহী। ফুটবল বিষয়ক এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের দিকে এখন সবার নজর।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *