সরকার বন্ধের শঙ্কা! অচলাবস্থা কাটাতে প্রস্তুত ডেমোক্র্যাটরা?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে, কারণ ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদের একটি প্রস্তাবিত ব্যয় বিল আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। এই অচলাবস্থা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

এখানে উল্লেখ করা যায়, প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ১ মার্কিন ডলার = ১১০ বাংলাদেশী টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো আসন্ন সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। ডেমোক্রেট দলের নেতারা রিপাবলিকানদের একটি প্রস্তাবিত ব্যয় বিলের বিরোধিতা করছেন।

তাঁদের মূল দাবি হলো, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় নেওয়া কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মেডিকেয়ারে কাটছাঁট এবং কংগ্রেসের ব্যয় ক্ষমতা খর্ব করার মতো বিষয়গুলো।

ডেমোক্রেটদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনেটের প্রভাবশালী নেতা চাক শুমার এবং প্রতিনিধি পরিষদের নেতা হাকিম জেফ্রিস। তাঁদের মতে, রিপাবলিকানদের বর্তমান পদক্ষেপগুলো তাঁদের কঠোর অবস্থান নেওয়ার কারণ।

তাঁরা চান, রিপাবলিকানরা যেন ওবামাকেয়ারের ভর্তুকি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। এই ভর্তুকি প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তবে রিপাবলিকানরা মনে করছেন, ডেমোক্রেটরা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। তাঁদের দাবি, রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত বিলে এমন কিছুই নেই, যার সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের দ্বিমত থাকতে পারে।

অন্যদিকে, রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ডেমোক্র্যাটদের বর্তমান পরিকল্পনা সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করবে। তাঁদের মতে, ডেমোক্র্যাটদের উচিত হবে, তাঁদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো মেনে নেওয়া।

রিপাবলিকান নেতারা চান, নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হোক।

যদি এই অচলাবস্থা নিরসন না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং জরুরি পরিষেবাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্ব বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, উভয় দলই তাঁদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। ফলে, সরকার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।

এখন দেখার বিষয়, রাজনৈতিক নেতারা কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করেন এবং এর ফলস্বরূপ বিশ্ব অর্থনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *