ন্যাশনাল জয়ের স্বপ্নে বিভোর! ‘ক্লিক অ্যান্ড কালেক্ট’ করে ঘোড়া কেনা!

ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ন্যাশনাল: এক ‘ছোট্ট’ ঘোড়ার রূপকথা।

প্রতি বছর, বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষের দৃষ্টি থাকে যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অশ্বারোহণ প্রতিযোগিতার দিকে। এই প্রতিযোগিতার আকর্ষণ কেবল এর বিশালতা এবং ঐতিহ্যের কারণেই নয়, বরং এটি অপ্রত্যাশিত সাফল্যের গল্পগুলিরও জন্ম দেয়।

এবার তেমনই একটি রূপকথার জন্ম দিতে প্রস্তুত, ‘হোরানটজাউ ডি’এয়ারি’ নামের একটি ঘোড়া, যা সকলের নজর কেড়েছে।

এই ঘোড়াটির মালিক এবং প্রশিক্ষক হলেন মাইকেল কেডি। আশ্চর্যের বিষয় হল, কেডির এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার অভিজ্ঞতা নেই।

আর তাঁর ঘোড়াটি অংশ নিচ্ছে বিশ্বের অন্যতম কঠিন এই রেসে।

হোরানটজাউ ডি’আয়ারি’র গল্পটা সত্যিই অসাধারণ। আয়ারল্যান্ডের উইলিয়াম মুলিন্সের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে অনলাইনে মাত্র ৫০,০০০ পাউন্ড (প্রায় ৬৭ লক্ষ বাংলাদেশী টাকা) -এ কেনা হয় এই ঘোড়াটিকে।

এরপর নিউমার্কেটের কেডির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়, যা ছিল বেশ কঠিন। কারণ, গ্র্যান্ড ন্যাশনাল প্রতিযোগিতার সময় ঘনিয়ে আসছিল।

কেডির বান্ধবী, যিনি ঘোড়াটিকে প্রতিদিন সকালে প্রশিক্ষণ দেন, তিনি জানান, “আমরা সবাই আয়ারল্যান্ডের মানুষ।

গ্র্যান্ড ন্যাশনাল আমাদের কাছে সবসময়ই একটি বিশেষ ইভেন্ট ছিল। আমার পরিবারে সরাসরি রেসিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কেউ না থাকলেও, দাদা এবং বাবা ঘোড়দৌড় ভালোবাসতেন।

তাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়াটা আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো।”

প্রতিযোগিতার জন্য হোরানটজাউ ডি’এয়ারি’কে প্রস্তুত করতে নিউমার্কেটের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষও এগিয়ে এসেছে।

তারা এই ঘোড়াটির জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে।

জকি ক্লাব, যারা নিউ মার্কেটের বিখ্যাত প্রশিক্ষণ মাঠের মালিক, হোরানটজাউ ডি’এয়ারি’কে এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।

কেডি জানান, “এই ঘোড়াটির মধ্যে দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, যেন সে তার সেরাটা দিতে পারে।

গ্র্যান্ড ন্যাশনাল সব সময়ই অনিশ্চয়তার খেলা। তবে আমরা আমাদের টিকিট কিনে ফেলেছি, দেখা যাক শনিবার বিকেল ৪:১৫ মিনিটে কী হয়।”

এই প্রতিযোগিতায় হোরানটজাউ ডি’এয়ারি’র জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা যদিও কম, তবুও কেডি এবং তাঁর দল একটি রূপকথার জন্ম দিতে প্রস্তুত।

এটি শুধু একটি ঘোড়দৌড় নয়, বরং একজন সাধারণ মানুষের স্বপ্নপূরণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *