আতঙ্ক জাগানো জয়! গ্র্যান্ড ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন ‘নিক রকেট’!

ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ন্যাশনাল ঘোড়দৌড়ে বিজয়ী: উইলিয়াম মালিন্সের অসাধারণ কীর্তি।

প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া গ্র্যান্ড ন্যাশনাল বিশ্বে ঘোড়দৌড়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় একটি প্রতিযোগিতা। এটি শুধু একটি খেলা নয়, বরং ঐতিহ্য এবং গৌরবের প্রতীক।

এই বছর, ২০২৫ সালের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল জয় করে নিলেন নিক রকেট নামক ঘোড়াটি, যার চালক ছিলেন প্যাট্রিক মালিন্স। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন উইলিয়াম মালিন্স।

এই জয় ছিল উইলিয়াম মালিন্সের জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত, কারণ তার প্রশিক্ষণাধীন ঘোড়া প্রথম তিনটি স্থান দখল করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে আই অ্যাম ম্যাক্সিমাস এবং তৃতীয় স্থানে ছিল গ্রাঞ্জক্লেয়ার ওয়েস্ট। এই ফলাফল উইলিয়াম মালিন্সের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।

ঘোড়ার মালিক ছিলেন স্টুয়ার্ট এবং স্যাডি অ্যান্ড্রু। স্যাডি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে মারা যান, তবে তার একটি স্বপ্ন ছিল – উইলিয়াম মালিন্সের অধীনে একটি ঘোড়া প্রশিক্ষণ নেওয়া, কারণ তারা একই অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন।

বিজয়ী হওয়ার পর জকি প্যাট্রিক মালিন্স তার অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই গ্র্যান্ড ন্যাশনাল জয়ের স্বপ্ন দেখতাম।

যখন আমি পাঁচ-ছয় বছর বয়সী ছিলাম, তখন এই দৌড় নিয়ে বই পড়তাম এবং পুরনো দিনের সাদা-কালো ভিডিও দেখতাম। নিজের নাম সেখানে দেখতে পাওয়াটা সত্যিই অসাধারণ।

প্যাট্রিক মালিন্স এই জয়ের মাধ্যমে তার পরিবারের ঐতিহ্যকে আরও উজ্জ্বল করেছেন।

তার চাচাতো ভাই ডেভিড এবং এমমেটও এর আগে এই রেসে জয়ী হয়েছেন। ডেভিড জকি হিসেবে এবং এমমেট প্রশিক্ষক হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।

প্যাট্রিক মালিন্স মজা করে বলেন, “ডেভিড এবং এমমেট ইতিমধ্যেই জিতেছে, তাই আমি তাদের সঙ্গেই আছি। এবার ড্যানিকে (অন্য চাচাতো ভাই) ভালো কিছু করতে হবে।”

অন্যদিকে, প্রশিক্ষক উইলিয়াম মালিন্স তার ছেলের এই জয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “ছেলেকে গ্র্যান্ড ন্যাশনালের মতো প্রতিযোগিতায় জেতাতে পারাটা অনেক আনন্দের।

এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।” উইলিয়াম মালিন্স-এর চোখে জল ছিল, কিন্তু তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, “ছেলেকে এই জয় এনে দিতে পারাটা খুবই আনন্দের।”

এই জয়ে মালিন্স পরিবারের সদস্যরা সবাই গর্বিত। এই জয় ঘোড়দৌড় প্রেমীদের জন্য একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *