ঐতিহ্যপূর্ণ গ্র্যান্ড ন্যাশনাল: আবহাওয়ার প্রতিকূলতা জয় করে প্রস্তুত হচ্ছে এintree
বিশ্বজুড়ে অগণিত দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যুক্তরাজ্যের Aintree-তে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গ্র্যান্ড ন্যাশনাল ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রতি বছর, এই ইভেন্টটি কেবল খেলাধুলার জগতকেই আলোড়িত করে না, বরং এটি একটি বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেরও জন্ম দেয়।
এবার, প্রতিযোগিতার আগে আবহাওয়ার অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
এবারের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল-এর মূল চ্যালেঞ্জ হল মাঠ প্রস্তুত রাখা। সাধারণত, ঘোড়দৌড়ের জন্য ঘাসযুক্ত মাঠ ‘ভালো-নরম’ অবস্থায় রাখা হয়, যা ঘোড়দৌড়বিদদের সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমতাবস্থায়, Aintree-এর মাঠকর্মীরা মাঠের ঘাসকে দৌড়ের উপযোগী করে তুলতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
Aintree-এর ভারপ্রাপ্ত কোর্স ক্লার্ক, জন পুলিন জানিয়েছেন, গত ১৭ই মার্চ থেকে মাঠের ঘাস ভেজানোর কাজ শুরু হয়েছে। মাঠের কোনো কোনো অংশে ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫ মিলিমিটার জল দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং দৌড় শুরু হওয়ার পরেও ঘাস ভেজানোর কাজ অব্যাহত থাকবে, যাতে ঘোড়দৌড়টি নিরাপদভাবে সম্পন্ন করা যায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকতে পারে, তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
গ্র্যান্ড ন্যাশনাল শুধু একটি ঘোড়দৌড় নয়, এটি একটি উৎসব। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অগণিত দর্শক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া ঘোড়াগুলোর মধ্যে রয়েছে কনস্টিটিউশন হিল, লসিমোথ, জাঙ্গো বাই, গিডলি পার্ক এবং আরও অনেকে। প্রত্যেকটি ঘোড়াই তাদের নিজস্ব দক্ষতার জন্য পরিচিত এবং জয়ের জন্য প্রস্তুত।
প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানিয়েছেন, মাঠ প্রস্তুত করার কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাঠের অবস্থা ঘোড়দৌড়ের ফলাফলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
তাই, তারা মাঠের ঘাসকে সঠিক অবস্থায় রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করছেন। এই বছর, আবহাওয়ার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, গ্র্যান্ড ন্যাশনাল তার ঐতিহ্য বজায় রাখতে প্রস্তুত।
গ্র্যান্ড ন্যাশনাল শুধু একটি খেলা নয়, এটি একটি সংস্কৃতি। এটি ধৈর্য, সাহস এবং ত্যাগের প্রতীক।
আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, Aintree কর্তৃপক্ষ এই প্রতিযোগিতাকে সফল করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সারা বিশ্বের ঘোড়দৌড় প্রেমীরা এই ঐতিহাসিক ইভেন্টের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
তথ্য সূত্র: The Guardian