দাদুর প্রতি ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত: নাতনির নামকরণে আবেগঘন মুহূর্ত!

অ্যামান্ডা বেলক নামক এক নারীর তার দাদুর প্রতি ভালোবাসার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি সম্প্রতি জন্ম নেওয়া তার শিশুকন্যার নাম রেখেছেন গাব্রিয়েলা, যা তার দাদু গ্যাব্রিয়েল গ্রোয়ে-কে উৎসর্গীকৃত।

“পপি” নামে পরিচিত ৮৭ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গে অ্যামান্ডার সম্পর্ক ছিল গভীর এবং ভালোবাসাপূর্ণ। শৈশবে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর, পপি ছিলেন অ্যামান্ডার জীবনে নির্ভরতার প্রতীক। তিনি শুধু একজন দাদাই ছিলেন না, বরং ছিলেন সবসময় পাশে থাকা একজন অভিভাবক, যিনি ভালোবাসার চাদরে আগলে রাখতেন নাতনিকে।

অ্যামান্ডা জানান, “আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটি হলেন তিনি। তিনি সবসময় আমার ভালোমন্দ দেখতেন এবং আমাকে ভালোবাসতেন।

গ্যাব্রিয়েল এক দশক আগে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হন। শারীরিক দুর্বলতা সত্ত্বেও তিনি জীবনকে ভালোবাসেন এবং নতুন কিছু খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

বাগানের প্রতি ছিল তার গভীর ভালোবাসা। যদিও এখন আগের মতো বাগান করা তার পক্ষে সম্ভব নয়, তিনি পাখির বাসা তৈরি করেন, যা তার সৃজনশীলতারই বহিঃপ্রকাশ।

অ্যামান্ডা বলেন, “তিনি পারকিনসনকে হারাতে দেননি। সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যান এবং এমন কিছু খুঁজে নেন যা তাকে আনন্দ দেয়।

দাদুর প্রতি ভালোবাসার গভীরতা থেকেই অ্যামান্ডা তার সন্তানের নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় চেয়েছিলাম আমার সন্তানের নাম তার (দাদুর) নামে হোক।

বসন্তে যখন অ্যামান্ডা তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেন, তখন তিনি তার মেয়ের নাম রাখেন গাব্রিয়েলা। এর মাধ্যমে তিনি শুধু দাদুর প্রতি সম্মান জানাননি, বরং তার ভালোবাসা, মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন।

যখন পপি তার নাতনি গাব্রিয়েলাকে প্রথম দেখেন, সেই মুহূর্তটি ছিল অসাধারণ। সাধারণত, গ্যাব্রিয়েল খুব একটা আবেগ প্রকাশ করেন না।

কিন্তু নাতনির নাম শুনে তার চোখে জল এসে যায়। অ্যামান্ডা বলেন, “আমি তাকে এত আবেগপ্রবণ হতে দেখিনি। যখন তিনি শিশুটিকে দেখলেন এবং তার নাম শুনলেন, তখন আমাদের সবার জন্যই তা ছিল খুবই আবেগপূর্ণ।

ইতালির ক্যালাব্রিয়া থেকে আসা গ্যাব্রিয়েল গ্রোয়ে, যিনি একটি সুন্দর জীবনের স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন এবং পরিবারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। অ্যামান্ডা মনে করেন, এই ঘটনাটি যেন তার জীবনের একটি পূর্ণতা এনে দিয়েছে।

অ্যামান্ডা আরও বলেন, “এই মুহূর্তে গর্ব, ভালোবাসা, এবং বহু বছরের স্মৃতি একসঙ্গে যেন চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল।

অ্যামান্ডা আশা করেন, তার মেয়ে গাব্রিয়েলা তার দাদার মতো দৃঢ়চেতা, স্নেহময় এবং পরিবারের প্রতি নিবেদিত হবে। তিনি আরও যোগ করেন, “আমি চাই সে সবসময় তার দাদার মতো দয়া, নম্রতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও আনন্দ খুঁজে নিতে পারুক।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *