গর্ভবতী স্ত্রীর প্রসব পরিকল্পনায় শাশুড়ির বাড়াবাড়ি, অনলাইনে সমালোচনার ঝড়।
একটি আসন্ন মা তার অনাগত সন্তানের পৃথিবীতে আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আর এরই মধ্যে শাশুড়ির অতিরিক্ত নাক গলানো নিয়ে অনলাইনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ওই নারী তার শাশুড়ির আচরণে এতটাই বিরক্ত যে, তিনি বিষয়টি নিয়ে সাহায্য চেয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ঘটনার সূত্রপাত, যখন ওই নারী জানতে পারেন যে তার শাশুড়ি নিজেকে ‘দাদী সিইও’ (Grandma CEO) ঘোষণা করেছেন এবং প্রসবের প্রতিটি বিষয়ে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করতে চাইছেন। এমনকি, চিকিৎসকের কাছে যাওয়া থেকে শুরু করে, সন্তান জন্ম-পরবর্তী বিভিন্ন পরিকল্পনাতেও তিনি সক্রিয় হতে চাইছেন।
বিষয়টি আরও গুরুতর রূপ নেয় যখন শাশুড়ি, অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী এবং একজন প্রশিক্ষিত ধাত্রীর (doula) একটি বিশেষ ‘গ্রুপ চ্যাট’-এ প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি নিজেকে বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পণ করেন, যেমন – ‘লজিস্টিকস কোঅর্ডিনেটর’, ‘নার্স যোগাযোগকারী’, ‘শিশুর নামকরণের পরামর্শদাতা’, এবং ‘এনার্জি প্রটেক্টর’।
বিষয়টি নিয়ে যখন ওই নারী তার প্রতিক্রিয়া জানান, তখন শাশুড়ি অত্যন্ত আহত হন এবং তার প্রজন্মের অভিজ্ঞতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দাবি করেন। যদিও ওই নারীর স্বামী তার মায়ের এই আচরণকে ‘হাস্যকর’ বলে মনে করেন, তবুও পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, শাশুড়ির এই ধরনের আচরণ, মায়ের ইচ্ছাকে খর্ব করছে। নেটিজেনরা ওই নারীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং শাশুড়ির এই ধরনের হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে পরিবারের সমর্থন প্রসবকালে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে মায়ের ব্যক্তিগত স্থান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতাকে সম্মান জানানো উচিত। এই ঘটনাটি মা ও শাশুড়ির মধ্যেকার সম্পর্ক এবং গর্ভাবস্থায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যেকার প্রত্যাশা নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল