৮৭ বছরের বৃদ্ধের নাতীর গ্র্যাজুয়েশনে না যেতে পারার পর যা হলো, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক গল্প!

শিরোনাম: অসুস্থ্য দাদার জন্য, নাতির গ্র্যাজুয়েশন এলো তাঁর ঘরে: ভালোবাসার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।

ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ৮৭ বছর বয়সী এডি ক্যামারেনা-র নাতি ডেরেক-এর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাশ করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি সেই অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি।

নাতির গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারার কষ্ট ভুলিয়ে দিতে পরিবারের সদস্যরা এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁরা গ্র্যাজুয়েশনের আনন্দ নিয়ে হাজির হন এডি’র কাছেই।

প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত এডি বর্তমানে রোগমুক্তির পথে, তবে তাঁর শরীর এখনো দুর্বল। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারায় প্রথমে মন খারাপ হলেও, পরিবারের ভালোবাসার কাছে তা হার মেনে যায়।

ডেরেকের মা এবং এডি’র পুত্রবধূ ম্যারিৎজা এই অভাবনীয় পরিকল্পনার কথা জানান। ডেরেক-এর মা জানান, “এডি ডেরেক-এর একটি ছবি চেয়েছিলেন, তাই আমরা এমন কিছু করার কথা ভেবেছিলাম।”

অরেঞ্জ কাউন্টিতে (ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র) বসবাস করা এডি’র বাড়িতে যখন ডেরেক তাঁর গাউন পরে উপস্থিত হন, তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। শারীরিক কষ্ট সত্ত্বেও, নাতির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য উঠে দাঁড়ান তিনি। এই দৃশ্য ছিল অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী।

১৮ বছর বয়সী ডেরেক বলেন, “দাদুর সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। এই স্মৃতিগুলো আমাদের কাছে অমূল্য।” ডেরেক আরও যোগ করেন, “আমি খুব খুশি যে আমরা দাদুর জন্য এমন কিছু করতে পেরেছি। আমার মনে হয়, এই কাজটি আরো বিশেষ হতো যদি আমার দিদিমাও এখানে থাকতেন।”

পরিবারের এই বিশেষ মুহূর্তগুলো ম্যারিৎজা টিকটকে আপলোড করেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়। ভিডিওটি লক্ষাধিক মানুষ দেখে এবং হাজার হাজার মন্তব্য আসে। নেটিজেনরা এই ভালোবাসাপূর্ণ ঘটনার প্রশংসা করেন।

ম্যারিৎজা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো ধরে রাখতে চান। তিনি বলেন, “বাবা-মার সঙ্গে, বিশেষ করে দাদা-দাদীর সঙ্গে বেশি সময় কাটানো উচিত। তাঁদের সঙ্গে প্রতিটি বিষয়ে আলোচনা করা উচিত, তাঁদের শৈশবের গল্প শোনা উচিত। কারণ আমরা জানি না, আমাদের শেষ মুহূর্তটি কখন আসবে।”

এই ঘটনা আমাদের সমাজে পরিবার ও ভালোবাসার গুরুত্বের প্রতিচ্ছবি। এটি দেখায়, কীভাবে পরিবারের সদস্যরা একে অপরের প্রতি সমর্থন ও ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *