ট্রাম্পের ক্ষমার ঘোষণায় গ্রেসন ক্রিসলির উল্লাস, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ!’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ব্যাংক ও তার সংক্রান্ত জালিয়াতি এবং কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া টড এবং জুলি ক্রিসলিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

এই খবরটি ক্রিসলি পরিবারে আনন্দের ঢেউ এনে দিয়েছে, বিশেষ করে তাদের ছেলে গ্রেসন ক্রিসলি সামাজিক মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ক্রিসলি দম্পতির বিরুদ্ধে ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি ব্যাংক ও তার সম্পর্কিত জালিয়াতি, কর ফাঁকি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযোগ গঠন করে। এরপর ২০২৩ সালের ১৭ই জানুয়ারি থেকে তারা তাদের কারাদণ্ড ভোগ করা শুরু করেন।

টডের ১২ বছর এবং জুলির ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ কমানো হয়েছিল।

এই ঘটনার জেরে ক্রিসলি পরিবারের জীবনে নেমে আসে গভীর সংকট। তাদের সন্তান স্যাভানাহ ক্রিসলি, যিনি তখন মাত্র ২৫ বছর বয়সী, ছোট ভাইবোন গ্রেসন এবং ক্লোকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমার ঘোষণার পর স্যাভানাহ তার প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আমার বাবা-মা তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে পারবে! আমার ফোন এখন বাজছেই, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের পূর্ণ এবং নিঃশর্ত ক্ষমা করেছেন, এবং এর জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।”

আদালতের শুনানিতে জুলির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ার কারণে তার সাত বছরের সাজা বাতিল করা হয়েছিল। তবে, পরে অন্য একজন বিচারক রায় দেন যে, জুলির আগের সাজাই বহাল থাকবে এবং তাকে পুনরায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ক্ষমা ঘোষণার পর গ্রেসন তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ! আমার পরিবারকে ফিরিয়ে আনার জন্য জনাব প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ।”

এই ঘটনার মাধ্যমে ক্রিসলি পরিবারে আনন্দের মুহূর্ত ফিরে এলেও, কারাগারের অন্যায় এবং ভুল বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই এখনো শেষ হয়নি। স্যাভানাহ জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে কথা বলা এবং যারা তাদের কণ্ঠস্বর নেই তাদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, ক্ষমা ঘোষণার ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তি মুক্তি পেতে পারেন এবং নতুন জীবন শুরু করতে পারেন। তবে, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা বিচার বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *