বিখ্যাত ব্রিটিশ শিল্পী স্যার গ্রেসন পেরির নতুন প্রদর্শনী ‘ডিলিউশনস অফ গ্র্যান্ডার’ বর্তমানে লন্ডনের ওয়ালেস সংগ্রহশালায় চলছে। এই প্রদর্শনীতে সমাজের প্রান্তিক মানুষ এবং বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে।
পেরির কাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বাইরে গিয়ে মানুষের ভাবনাকে তুলে ধরা।
এই প্রদর্শনীতে শিল্পী তাঁর নতুন চরিত্র, “শার্লি স্মিথ”-কে উপস্থাপন করেছেন, যিনি পূর্ব লন্ডনের একজন দরিদ্র নারী। শার্লির আরেকটি রূপ হলো “দ্য অনারেবল মিলিসেন্ট ওয়ালেস”, যিনি আসলে ওয়ালেস সংগ্রহের উত্তরাধিকারী।
এই দুটি চরিত্রের মাধ্যমে শিল্পী মানুষের ভেতরের জটিলতা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবন ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রদর্শনীতে সিরামিক, টেপেস্ট্রি, প্রিন্ট, ভাস্কর্য এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা প্রতিকৃতিসহ নানা ধরনের শিল্পকর্ম দেখা যাচ্ছে।
প্রদর্শনীতে গ্রেসন পেরির কাজের সঙ্গে মাদজ গিলের মতো ‘আউটসাইডার’ শিল্পীদের কাজও স্থান পেয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, এখানে শিল্পীর বহুরূপিতা এবং সামাজিক বিষয়গুলির উপস্থাপনা বেশ আকর্ষণীয়। তবে, কেউ কেউ মনে করেন, প্রদর্শনীতে শিল্পীর দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা আরোপিত মনে হয়েছে, যা গভীরতা থেকে দূরে।
স্যার গ্রেসন পেরির কাজের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, তিনি তাঁর শিল্পকর্মের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরেন।
তাঁর এই নতুন প্রদর্শনীতে, তিনি বহুরূপী চরিত্রের মাধ্যমে মানুষের ভেতরের জটিলতা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনকে তুলে ধরেছেন।
পর্যালোচকদের মতে, প্রদর্শনীটি শিল্পীর কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করে, যেখানে তিনি নিজেকে এবং সমাজকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ তৈরি করেছেন।
লন্ডনের ওয়ালেস সংগ্রহশালায় এই প্রদর্শনী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian