শিশুদের মৃত্যু: শোকাহত great-grandfather এর মর্মান্তিক পরিণতি, চাঞ্চল্যকর ঘটনা!

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ড্যানভিলে শহরে অবস্থিত হেন্ড্রিক্স কাউন্টি কোর্ট হাউসের বাইরে পুলিশের গুলিতে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মার্ক ভাওয়ার (৬৫)।

তিনি গত ৫ই ফেব্রুয়ারি প্লেনফিল্ডে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিশুর প্রপিতামহ ছিলেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই মে, সোমবার ভাওয়ার আদালতে এসেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, ওই দুর্ঘটনার জন্য অভিযুক্ত ২৫ বছর বয়সী এস’ডনি পেটিসকে মোকাবেলা করা।

ফেব্রুয়ারিতে পেটিসের চালানো একটি গাড়ির ধাক্কায় ভাওয়ারের দুই নাতি-নাতনি—আরেস (৩) এবং আইরিস (২ মাস)—নিহত হয়।

পুলিশের ভাষ্যমতে, সেদিন দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে ভাওয়ার আদালত ভবনের বাইরে থাকা একটি কয়েদি পরিবহন ভ্যানে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এরপর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই ডেপুটি শেরিফ পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই ভাওয়ারের মৃত্যু হয়।

তার কাছ থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে স্থানীয় প্রসিকিউটর লরেন পি. ডেলপ জানান, পেটিসের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তার মামলার নথি গোপন রাখার আবেদন করা হয়েছে।

প্রসিকিউটরের মতে, পেটিসের শুনানির তারিখ পরিবর্তনের কারণে তিনি সেদিন পরিবহন ভ্যানে ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে, ভাওয়ার সম্ভবত পেটিসকে হত্যার উদ্দেশ্যে সেখানে এসেছিলেন।

এই ঘটনার জেরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রসিকিউটর অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিযুক্ত পেটিসের বিষয়ে আদালতের শুনানির তথ্য প্রকাশ পেলে প্রতিশোধের সম্ভবনা থাকে, যা অন্যদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ভাওয়ার তার নিহত নাতি আরেসের সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, “আমার তো আরেসের আগে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নিয়তির কি পরিহাস, আজ তাকে হারাতে হলো।”

ফেব্রুয়ারির ওই দুর্ঘটনায় পেটিসকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের ধারণা, পেটিস একটি চুরি করা গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

বর্তমানে তিনি বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন। এর মধ্যে রয়েছে—আইন প্রয়োগে বাধা দেওয়া, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো এবং এর ফলে মারাত্মক আঘাত ও মৃত্যুর কারণ হওয়া, গাড়ি চুরি ইত্যাদি।

ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার একটি স্থানীয় বিষয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছি।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *