ভূমধ্যসাগরের দেশ গ্রীসের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি পবিত্র আশ্রমে ভূমিকম্পের ফলে শত শত বছরের পুরনো মঠগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত ৭ই জুন ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে এখনো পর্যন্ত সেখানে কম্পন অনুভূত হচ্ছে।
দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কারণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র স্থান মাউন্ট আথোসের (Mount Athos) বেশ কয়েকটি মঠের স্থাপত্যে ফাটল ধরেছে, সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মূল্যবান শিল্পকর্ম।
মাউন্ট আথোসকে ‘পবিত্র পর্বত’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। এটি একটি স্ব-শাসিত সন্ন্যাসীদের প্রজাতন্ত্র, যেখানে প্রায় ২০টি অর্থোডক্স মঠ (Orthodox Monastery) রয়েছে।
এই স্থানটি যুগ যুগ ধরে ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। এখানকার সন্ন্যাসীরা কঠোর অনুশাসন মেনে চলেন, এমনকি নারীদের এই অঞ্চলে প্রবেশাধিকারও নেই।
ক্ষতিগ্রস্ত মঠগুলোর মধ্যে দশম শতকে নির্মিত জেনোফোন মঠের (Monastery of Xenophon) গম্বুজে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া, মঠের ভেতরের মূল্যবান দেয়ালচিত্র বা ফ্রেস্কোগুলোরও (Frescoes) ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গ্রিক সংস্কৃতি মন্ত্রী লিনা মেনডোনি জানিয়েছেন, এই ঐতিহাসিক স্থানটির প্রত্নতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এর সংস্কার ও পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোর মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু করা হবে।
ভূমিকম্পের পর এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পনগুলো এখনো অনুভূত হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি আফটারশক (Aftershock)।
থেসালোনিকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইমানুয়েল স্কোরডিলিস জানিয়েছেন, এই অঞ্চলের ফল্ট লাইনের কারণে ৬.০ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (Associated Press)