গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘রেভোলিউশনারি ক্লাস স্ট্রাগল’ নামের এই গোষ্ঠী গত এক বছরে সংঘটিত হওয়া দুটি বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এর মধ্যে একটি হামলা হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এবং অন্যটি শ্রম মন্ত্রণালয়ে।
গ্রিক পুলিশ বর্তমানে এই দাবির সত্যতা যাচাই করছে। পুলিশের মুখপাত্র কন্সটান্টিনা ডিমোগ্লিডু এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানান, তারা বিপ্লবী গোষ্ঠীটির দেওয়া বিবৃতি খতিয়ে দেখছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্যদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন।
গোষ্ঠীটি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতেই তারা এই হামলাগুলো চালিয়েছে। এছাড়া, তারা ২০২৩ সালে টেম্পি শহরে হওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য ইতালির রেলওয়ে কোম্পানি ‘ফেরোভিও ডেলা স্ট্যাটো’-কে দায়ী করেছে।
এই দুর্ঘটনায় ৫৭ জন নিহত হয়েছিলেন এবং এর জেরে গ্রিক রেল ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শ্রমিক মন্ত্রণালয়ে হামলার ঘটনাটি ছিল একটি প্রতিবাদ, যা “রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদী অপরাধ”-এর বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে।
হামলার সঙ্গে গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। তবে, হামলার আগে সতর্কবার্তা দেওয়ায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রিসের এয়ার অ্যান্ড রেল অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন অথরিটি (HARSIA) জানায়, ২০২৩ সালের ওই দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা।
এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এখনো বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে, কর্তৃপক্ষের প্রধান ক্রিস্টোস পাপাডিমিত্রিয়ু পদত্যাগ করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, তার এই পদক্ষেপে রেল দুর্ঘটনার তদন্ত আরও বিলম্বিত হতে পারে। বর্তমানে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে, যা এ বছর শেষ হওয়ার কথা।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা