গ্রিসের একটি মঠের অভ্যন্তরে হওয়া সংঘর্ষের জেরে এক অর্থোডক্স খ্রিস্টান সন্ন্যাসীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে থেসালোনিকিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনার সূত্রপাত বহু বছর ধরে চলা একটি ধর্মীয় বিবাদকে কেন্দ্র করে।
জানা গেছে, আহত সন্ন্যাসীর মুখ ও শরীরের উপরিভাগে গুরুতর আঘাত লেগেছে। মাউন্ট এথোসে এই ঘটনাটি ঘটেছে, যা গ্রিসের একটি স্ব-শাসিত সন্ন্যাসীদের এলাকা।
এখানে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সন্ন্যাসীরা প্রার্থনা ও আধ্যাত্মিক জীবন যাপন করেন। উল্লেখ্য, এই অঞ্চলে নারীদের প্রবেশাধিকার নেই।
মূলত, এসফিগমেনু মঠকে কেন্দ্র করে এই বিবাদের সূত্রপাত। মঠের সন্ন্যাসীদের একটি অংশ তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ইকুমেনিক্যাল প্যাট্রিয়ার্কেটের কর্তৃত্ব মানতে নারাজ।
তাদের এই বিদ্রোহের জেরে বারবার সহিংস সংঘর্ষ, আইনি লড়াই এবং সরবরাহ বন্ধের মতো ঘটনা ঘটেছে। বিতর্কের সূচনা হয় সত্তরের দশকের প্রথম দিকে।
বিদ্রোহী সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে আদালতের রায় আসার পরও তারা বহিরাগত কিছু গোষ্ঠীর কাছ থেকে সমর্থন লাভ করে টিকে আছে।
মঠ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। সরকারিভাবে স্বীকৃত সন্ন্যাসীদের একটি অংশের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা।
এসময় বাগানের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে। নতুন পক্ষের অ্যাবট ফাদার বার্থোলোমিউ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, তরুণ সন্ন্যাসীর মুখ ও বুকের পাঁজরে আঘাত লেগেছে।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীর বর্ণনা পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে এবং থেসালোনিকির পাবলিক প্রসিকিউটরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ফাদার বার্থোলোমিউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যদি তাদের (সন্ন্যাসীদের বহিষ্কারের) সিদ্ধান্ত কার্যকর না করা হয়, তাহলে এর কোনো মানে থাকে না।
সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর করতে হবে।
অন্যদিকে, বিদ্রোহী সন্ন্যাসীদের পক্ষ থেকে অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “আহত হওয়ার ভান করা তাদের পুরোনো কৌশল।”
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস