পৃথিবীর শীর্ষে স্বাগতম! গ্রিনল্যান্ডের মার্কিন ঘাঁটির অজানা রহস্য!

শিরোনাম: গ্রিনল্যান্ডের পিট্যুফিক ঘাঁটি: সুমেরু অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কৌশল

বিশ্বের শীতলতম অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত পিট্যুফিক একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। সুমেরু বৃত্তের উত্তরে, গ্রিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এই ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে।

এখানে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র সনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে, যা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম। এছাড়াও, এই ঘাঁটি থেকে বাতিল হওয়া স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষের উপরও নজরদারি চালানো হয়।

পিট্যুফিকের অবস্থানগত গুরুত্বের কারণে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পরিকল্পনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডেনমার্কের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখানে তাদের সামরিক উপস্থিতি স্থাপন করে।

এরপর, ডেনমার্কের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে এই উপস্থিতি আরও সুসংহত হয়। ডেনমার্ক ন্যাটোর সদস্য হওয়ায়, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে গ্রিনল্যান্ড একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, যা ডেনমার্কের অংশ। যদিও গ্রিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক নীতি এখনো ডেনমার্কের হাতে, তবে স্থানীয় সরকার স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

পিট্যুফিক ঘাঁটিতে প্রায় ১৫০ জন মার্কিন বিমান ও মহাকাশ বাহিনীর সদস্য কর্মরত রয়েছেন। তাদের সঙ্গে ডেনিশ এবং গ্রিনল্যান্ডবাসীও কাজ করেন।

২০২৩ সালে এই ঘাঁটির নামকরণ করা হয় ‘পিট্যুফিক’, যা গ্রিনল্যান্ডের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানায়। এই ঘাঁটিটি শুধু সামরিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

পিট্যুফিকের অবস্থান গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নূকের থেকে প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার দূরে, এবং সুমেরু বৃত্ত থেকে ১,২০০ কিলোমিটার উত্তরে। ঘাঁটিটি বছরের প্রায় নয় মাস বরফে ঢাকা থাকে, তবে বিমান যোগে এখানে সবসময় যাওয়া যায়।

শীতকালে এখানে সূর্যের আলো পাওয়া যায় না প্রায় তিন মাস।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *