গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন আগ্রাসন: তীব্র ক্ষোভ!

গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন কর্মকর্তাদের সফর নিয়ে বিতর্ক, উদ্বিগ্ন ডেনমার্ক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার আগ্রহ প্রকাশের মধ্যে দেশটির কর্মকর্তাদের গ্রিনল্যান্ড সফরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এই সফরকে ভালোভাবে দেখছে না ডেনমার্ক।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের স্ত্রী উশা ভান্স সহ একটি প্রতিনিধি দল ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার জন্য বৃহস্পতিবার গ্রিনল্যান্ডে যায়। আগামী ২৯শে মার্চ এই প্রতিনিধি দলের যুক্তরাষ্ট্র ফেরার কথা রয়েছে।

এছাড়াও, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইটও গ্রিনল্যান্ড সফর করছেন।

এই সফরের তীব্র নিন্দা করে গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে ইগেদে একে “উস্কানিমূলক” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, এর মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রিনল্যান্ডের উপর নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করা।

গ্রিনল্যান্ডের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ওয়াল্টজের উপস্থিতি সেখানকার আমেরিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও বেশি আস্থা তৈরি করবে এবং সফরের পরে চাপ আরও বাড়বে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রিনল্যান্ডের কৌশলগত অবস্থান এবং খনিজ সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রকে আকৃষ্ট করে। ইউরোপ থেকে উত্তর আমেরিকাগামী সংক্ষিপ্ততম নৌপথের ওপর এর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক উভয় সরকারই যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেনমার্ক থেকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জনের পক্ষপাতী একটি দল জয়লাভ করার কারণে গ্রিনল্যান্ড সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে রয়েছে।

ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এক লিখিত মন্তব্যে বলেছেন, ডেনমার্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়, তবে তা অবশ্যই সার্বভৌমত্বের মৌলিক নীতির উপর ভিত্তি করে হতে হবে।

তিনি আরও জানান, গ্রিনল্যান্ড সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ডেনিশ সরকার এবং ভবিষ্যৎ গ্রিনল্যান্ড সরকারের সঙ্গে সমন্বিতভাবে করা হবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *