গ্রিনল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ড কারও অধীনে নয়, বরং তারা তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই নির্ধারণ করবে।
সম্প্রতি, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও বিশাল এই আর্কটিক অঞ্চলটি অধিগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গত শনিবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমরা গ্রিনল্যান্ড নেব, হ্যাঁ, একশো ভাগ।” তিনি আরও যোগ করেন, সামরিক শক্তি ব্যবহার না করেই কাজটি করার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে কোনো কিছুই তিনি বিবেচনা থেকে বাদ দিচ্ছেন না।
জেন্স-ফ্রেদেরিক নীলসেন, যিনি সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন। শুক্রবার নুউক শহরে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর জোর দেন, যা বাইরের চাপ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
তাঁর বার্তা ছিল অত্যন্ত সুস্পষ্ট: “এমন এক সময়ে যখন আমরা একটি জাতি হিসেবে চাপের মধ্যে রয়েছি, তখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
নীলসেনের শপথগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্সের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল গ্রিনল্যান্ডে পৌঁছায়। ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেনমার্ক সরকারের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, তারা গ্রিনল্যান্ডের জনগণের জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করেনি এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা কাঠামোতেও মনোযোগ দেয়নি।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লওকে রাসমুসেন এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা সমালোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই ধরনের ভাষা আমরা পছন্দ করি না। মিত্রদের সঙ্গে এভাবে কথা বলা হয় না, এবং আমি এখনও ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করি।”
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, গ্রিনল্যান্ডের এই ঘটনা ছোট দেশগুলোর স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। বিশেষ করে, যখন কোনো বৃহৎ শক্তি ছোট কোনো অঞ্চলের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে, তখন এমন ঘটনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: রয়টার্স।
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			