গ্রে’স অ্যানাটমি: ফের জীবন বাজি রেখে আলোচনার কেন্দ্রে মারিডিথ!

জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’-র (Grey’s Anatomy) সর্বশেষ সিজন-এর ফাইনাল পর্বে শ্বাসরুদ্ধকর কিছু ঘটনা ঘটেছে।

অন্যদিকে যেমন হাসপাতালের ভেতরে এক ভয়াবহ জিম্মি-অবস্থা তৈরি হয়, তেমনই সম্পর্কগুলোর ভাঙন আর অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী থাকল দর্শক।

গল্পের শুরুতে দেখা যায়, ডিলান নামের এক কিশোরীর মা জেনা, মেয়ের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার অ্যামেলিয়া ও সাইমনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

তার দাবি ছিল, মেয়ের অস্ত্রোপচার করতে হবে, না হলে সে হাসপাতালের কর্মীদের ক্ষতি করবে।

জেনার হাতে ছিল অ্যাসিটিলিন গ্যাসের ট্যাঙ্ক, যা যে কোনও মুহূর্তে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারতো।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এগিয়ে আসেন ডাক্তার মেরেডিথ গ্রে।

তিনি বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন, কারণ তিনি নিজেও একজন মা, তাই বাচ্চাদের জন্য একজন মায়ের আবেগ তিনি ভালো করেই বোঝেন।

এরপর জানা যায়, গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কটি আসলে খালি ছিল।

অন্যদিকে, ডাক্তার লুকাস ও সাইমনের মধ্যে তৈরি হওয়া প্রেমের সম্পর্কটিও ভাঙনের দিকে যায়।

লুকাস, সাইমনের সঙ্গে থাকতে চাইলেও, তাদের বিচ্ছেদ হয় এবং সাইমন নতুন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়।

এরই মধ্যে, টেডি ও ওয়েনের দাম্পত্য জীবনেও ফাটল ধরে।

ওয়েন, নোরার প্রতি দুর্বলতা অনুভব করায় টেডি তাদের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

টেডি কঠিন পরিস্থিতিতেও নোরার জীবন বাঁচানোর জন্য একটি জটিল অস্ত্রোপচার করেন।

হাসপাতালে কর্মরত বেন ওয়ারেনকে স্থায়ীভাবে কাজে বহাল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে তিনি নিয়ম ভেঙে এক রোগীর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেন।

পরে মেরেডিথ গ্রে, হাসপাতাল ছেড়ে নিজের শেয়ার বিক্রি করে দেন, আলঝেইমার রোগের গবেষণা করার জন্য।

তবে তিনি গ্রীষ্মকালে জেনারেল সার্জন হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেন।

সব মিলিয়ে, ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’-র এই সিজন-এর ফাইনাল পর্বটি ছিল আবেগপূর্ণ এবং অপ্রত্যাশিত মোড়-এ ভরপুর।

অন্যদিকে যেমন ছিল জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম, তেমনই ছিল সম্পর্কগুলোর টানাপোড়েন।

সব ঘটনার শেষে, দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করছে নতুন চমক।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *