মায়ের মৃত্যুতে বাবার মুখোমুখী মেয়ে, শেষকৃত্যে তুমুল বিতর্ক!

বিধবা মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পিতার আগমন, কন্যার মনে সন্দেহের জন্ম।

সম্প্রতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মায়ের মৃত্যুর পর শোকাহত এক মেয়ের সঙ্গে তার বাবার মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটেছে। মায়ের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে বাবার উপস্থিতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মেয়েটি।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল এবং মেয়ের জীবনে বাবার তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না।

ঘটনার সূত্রপাত হয় তিন বছর আগে, যখন মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। মা-কে হারানোর শোকের মধ্যে মেয়েটি জানতে পারেন, তিনি এবং তার দুই বোনদের জন্য মা কিছু অর্থ রেখে গিয়েছেন, যাতে তাদের আর্থিক দিক দিয়ে কোনো সমস্যা না হয়।

মেয়ের ভাষ্যমতে, একসময় তার বাবা তাদের পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন। তারা খুব দরিদ্র ছিলেন, কিন্তু তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল। মেয়ের বয়স যখন ১৪ বছর, তখন থেকে বাবা ধীরে ধীরে তাদের থেকে দূরে যেতে শুরু করেন।

পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, মায়ের ভালো একটা চাকরি হওয়ায় সম্ভবত তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন এবং এর ফলেই তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে।

মায়ের মৃত্যুর পর যখন শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়, তখন মেয়েটি বাবাকে সেখানে দেখতে পান। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে মিশছিলেন, যেন সবসময় তিনি তাদের সঙ্গেই ছিলেন। এতে মেয়ের মনে সন্দেহ জাগে।

তিনি বুঝতে পারেন, বাবা হয়তো মায়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তির কথা জেনে গিয়েছেন।

রাগে ক্ষোভে ফেটে পরে মেয়েটি বাবাকে প্রশ্ন করেন, “আপনি এখানে কেন এমন ভাব দেখাচ্ছেন যেন সবসময় আমাদের পাশেই ছিলেন?” উত্তরে বাবা জানান, “আমি তো আমার সন্তানদের দেখাশোনা করতে এসেছি।”

মেয়েটি পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আমি তো এখন বড় হয়েছি, গত দশ বছর ধরে যখন আমার বাবার প্রয়োজন ছিল, তখন কোথায় ছিলেন?” মেয়ের এমন প্রশ্নে বাবা চুপ হয়ে যান।

এরপর, মেয়ের ছোট বোন বাবার কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। বিষয়টি দেখে মেয়েটি সেখান থেকে চলে আসেন।

বর্তমানে তিনি সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, বাবার এমন আচরণের কারণে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কি না।

এই ঘটনায় অনেকে সহানুভূতি প্রকাশ করে মেয়েটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, বাবার এই ধরনের আচরণ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বাবা হয়তো মেয়েদের প্রাপ্য সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *