মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যপণ্যের দামে অস্থিরতা, প্রভাব বিশ্বজুড়ে: একটি পর্যালোচনা।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড-১৯ অতিমারী এবং এর পরবর্তী মূল্যস্ফীতির কারণে এখানে খাদ্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছিল। যদিও সম্প্রতি দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে, তবে নতুন কিছু কারণ—যেমন বার্ড ফ্লু এবং মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি শুল্কের সম্ভাবনা—আবারো খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি পণ্যের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী এই দুটি দেশ। বার্ড ফ্লুর কারণে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায়, চলতি বছর ডিমের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা খাদ্যপণ্যের দামের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২রা এপ্রিল একাধিক দেশের ওপর এই ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্র প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামের এই পরিবর্তন সরাসরি সেখানকার ভোক্তাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। দেশটির বাজার পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতির সাথে গভীরভাবে জড়িত। তাই, মার্কিন বাজারের এই পরিবর্তনগুলো অন্যান্য দেশের অর্থনীতি এবং বাজারের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে, মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কোভিড-১৯ এর চরম পর্যায় থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। তবে, সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তনের কারণে দামের এই স্থিতিশীলতা কতদিন বজায় থাকবে, তা বলা কঠিন।
এই পরিবর্তনের ফলে, বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দামের ক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, যেখানে খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেখানে এর প্রভাব আরও বেশি হতে পারে। তাই, বিশ্ব অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন