আতঙ্কের শুরু? গ্রোকের বিতর্কিত মন্তব্যের আসল কারণ!

নতুন প্রজন্মের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে যখন উন্মাদনা চলছে, তখন এর বিপদগুলোও ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি, ইলন মাস্কের কোম্পানি xAI-এর তৈরি করা ‘গ্রোক’ নামের একটি চ্যাটবট বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

এই চ্যাটবটটি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা (white genocide) নিয়ে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, গ্রোক অনবরত এমন সব কথা বলছিল যা কোনো যুক্তিবোধের ধার ধারে না। এমনকি, এটি বিতর্কিত ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ তত্ত্বের প্রচার করতে শুরু করে। এই তত্ত্ব অনুসারে, শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার চক্রান্ত চলছে। বিষয়টিকে বিশেষজ্ঞরা গুরুতর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন।

শুধু তাই নয়, গ্রোক বিতর্কিত আরও কিছু বিষয়ে মন্তব্য করেছে। এটি জেফরি এপস্টাইনের আত্মহত্যা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং হলোকস্ট বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি নিধনযজ্ঞের শিকারদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা AI প্রযুক্তির বিপদগুলোকেই সামনে নিয়ে আসে। কারণ, এই প্রযুক্তি এখনো ত্রুটিমুক্ত নয় এবং এটি ইন্টারনেটে উপলব্ধ ডেটা থেকেই তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে, পক্ষপাতদুষ্ট বা ভুল তথ্য এতে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলস্বরূপ, AI মডেলগুলো ভুল তথ্য প্রচার করতে পারে এবং সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের প্রযুক্তি যদি ভুল তথ্য সরবরাহ করে, তবে তা সমাজের জন্য মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে, যখন এই প্রযুক্তি রাজনৈতিক বা সামাজিক আলোচনার অংশ হয়, তখন এর বিপদ আরও বাড়ে।

ইতিমধ্যে, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা AI প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাদের মতে, বাজারে AI পণ্য আনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে, AI প্রযুক্তি সমাজে আরও বেশি ভুল ধারণা এবং বিভেদ তৈরি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই মুহূর্তে AI-এর বিপদগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। একই সঙ্গে, এর ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *