গিনেথ প্যালট্রো: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থেকে পাস্তা ও পনিরের দিকে!
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রো, যিনি তার স্বাস্থ্য ও লাইফস্টাইল বিষয়ক ব্র্যান্ড ‘গুপ’-এর জন্য সুপরিচিত, সম্প্রতি তার খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নতুন কথা বলেছেন। ক’বছর আগেও যিনি কঠোরভাবে ‘প্যালিও’ ডায়েট অনুসরণ করতেন, তিনি এখন খাবারে কিছু পরিবর্তন এনেছেন।
নিজের খাদ্যতালিকা থেকে পছন্দের কিছু খাবার, যেমন— পাস্তা, হালকা রুটি ও পনির খাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
প্যালট্রো একটি পডকাস্টে (podcast) জানান, কয়েক বছর আগে তিনি ও তার স্বামী ব্র্যাড ফালচুক ‘প্যালিও’ ডায়েট শুরু করেছিলেন। তবে এখন তিনি এই ডায়েট থেকে কিছুটা দূরে সরে এসেছেন।
অভিনেত্রী বলেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি তার এক ধরনের আকর্ষণ ছিল। বিশেষ করে, যখন তিনি অনুভব করেছিলেন, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে তিনি ভালো অনুভব করছেন।
প্যালিও ডায়েট আসলে কী? এই ডায়েট মূলত সেইসব খাবারের ওপর জোর দেয়, যা প্রাচীন যুগে মানুষ খেত।
এই খাদ্যাভ্যাসে প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি ও শস্য জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে ফল, সবজি, মাছ, মাংস এবং বাদামের মতো প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, প্যালট্রো জানিয়েছেন, তিনি এখনো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দেন। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, তিনি দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক কিছু সমস্যা ও শরীরে প্রদাহ কমাতে চান।
তবে, শুরুতে তিনি হয়তো বিষয়টি নিয়ে একটু বেশি কঠোর ছিলেন। একসময় তিনি স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি এতটাই মনোযোগী হয়েছিলেন যে, এটিকে তিনি প্রায় একটি “অনুরাগে” পরিণত করেছিলেন।
২০২৩ সালে, প্যালট্রো যখন তার একটি দিনের খাবার তালিকা প্রকাশ করেন, তখন অনেকে তার এই খাদ্যাভ্যাসকে বেশ কঠোর ও সীমিত বলে সমালোচনা করেছিলেন।
কেউ কেউ এটিকে ‘অপর্যাপ্ত খাবার’ হিসেবেও উল্লেখ করেন।
সমালোচনার জবাবে প্যালট্রো বলেছিলেন, তিনি তার ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই খাদ্যাভ্যাস তৈরি করেছেন।
তিনি আরও যোগ করেন, এই ডায়েট তার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি অন্য কারো জন্য পরামর্শ নয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি সবসময় এই ধরনের খাবার খান না। বরং মাঝে মাঝে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো পছন্দের খাবারও খান। তার মূল লক্ষ্য হলো স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা, যা শরীরকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
প্যালট্রোর এই নতুন খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই, তিনি এখন স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি খাবারের ক্ষেত্রে আরও বেশি স্বাধীনতা ও ভারসাম্য বজায় রাখছেন।
(বি.দ্র: এই নিবন্ধটি তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এটি কোনো চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ নয়।)
তথ্য সূত্র: পিপল