জিমে কেমন আচরণ করবেন? ছবি তোলা থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু!

নতুন জিম ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন: কিভাবে সুস্থ পরিবেশে ব্যায়াম করবেন

বর্তমান সময়ে শরীরচর্চা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ার সাথে সাথে জিমের চাহিদাও বাড়ছে, বিশেষ করে শহরগুলোতে।

ব্যায়ামাগারে সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা জরুরি। আসুন, জেনে নিই জিমের ভালো ব্যবহারবিধিগুলো:

১. নিজের ছবি তোলা এবং ভিডিও তৈরি:

ইদানিংকালে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ছবি বা ভিডিও আপলোড করার প্রবণতা বেড়েছে। তবে, জিমের মতো পাবলিক প্লেসে ছবি তোলার ক্ষেত্রে অন্যদের কথা চিন্তা করা উচিত।

অনেক সময় দেখা যায়, ছবি তোলার সময় অন্যদের অসুবিধা হচ্ছে। তাই, ছবি তোলার আগে অবশ্যই আশেপাশে খেয়াল রাখুন এবং অন্যদের অনুমতি নিন।

২. অন্যকে পরামর্শ দেওয়া:

যদি কেউ ব্যায়াম করার সময় কোনো ভুল করে, তাহলে তাকে সরাসরি পরামর্শ না দেওয়াই ভালো। বিশেষ করে, আপনি যদি প্রশিক্ষক না হন, তবে এই ধরনের পরামর্শ দেওয়া এড়িয়ে চলুন।

এতে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে, যদি কেউ গুরুতর কোনো ভুল করে, যা তার আঘাতের কারণ হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনি সাহায্য করতে পারেন।

৩. ভারী ওজন তোলার সময় সাহায্য নেওয়া:

ভারী ওজন তোলার সময় অন্য কারো সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তবে, সাহায্য করার জন্য এমন কাউকে নির্বাচন করুন যিনি ওজনটি সামলাতে সক্ষম।

৪. ফোনে কথা বলা:

জিমের মধ্যে উচ্চস্বরে ফোনে কথা বলা অন্যদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। চেষ্টা করুন, ফোন কল এড়িয়ে যাওয়ার।

খুব জরুরি হলে, সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলতে পারেন।

৫. ক্লাসে দেরিতে যোগদান এবং দ্রুত প্রস্থান:

নিয়মিত ক্লাসগুলোতে সময় মতো উপস্থিত হওয়া উচিত। দেরিতে ক্লাসে যোগদান করলে অন্যদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

আবার, ক্লাস শেষ হওয়ার আগে চলে যাওয়াও অনুচিত।

৬. যন্ত্রপাতি ব্যবহারের নিয়ম:

  • একটি যন্ত্র ব্যবহারের পর, সেটি পরিষ্কার করা আপনার দায়িত্ব।
  • অন্য কেউ ব্যবহার করতে চাইলে, তাদের জন্য জায়গা করে দিন।
  • দীর্ঘ সময় ধরে একটি যন্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়, বিশেষ করে যখন অন্যান্যরা এটির জন্য অপেক্ষা করছে।

৭. পোশাক পরিধান:

জিমের পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখা উচিত। সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পোশাক নির্বাচন করা প্রয়োজন।

৮. শব্দ করা:

ব্যায়ামের সময় কিছু শব্দ হওয়া স্বাভাবিক, তবে অতিরিক্ত শব্দ করা অন্যদের বিরক্তির কারণ হতে পারে।

৯. পারস্পরিক সম্পর্ক:

জিম একটি সামাজিক স্থান। এখানে অন্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করা উচিত। কারো সাথে ফ্লার্ট করা বা ডেটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া উচিত নয়।

উপসংহার:

জিম একটি সুস্থ জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে পারস্পরিক সহযোগিতা ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে ব্যায়াম করলে, সবাই উপকৃত হবে।

আসুন, সবাই মিলে একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *