হাইলি বিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে যা ঘটলো! ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা!

হেইলি বিবারকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি, নিউইয়র্ক সিটির একটি রেস্টুরেন্টের বাইরে জনপ্রিয় এই মডেলের সঙ্গে ছবি তোলার সময় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক তরুণী, যিনি মূলত বিবারের একজন ভক্ত।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ক্রিস্টাল টেরে নামে এক তরুণী হেইলি বিবারের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য এগিয়ে যান। ছবি তোলার সময় নিরাপত্তা রক্ষী তাদের মাঝে এসে বাধা দেন।

এমন পরিস্থিতিতে হেইলি বিবার এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ক্রিস্টালের সঙ্গে ছবি তোলেন। এরপর ক্রিস্টাল সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।

কিন্তু এর পরেই শুরু হয় আসল ঘটনা। ভিডিওটি অনলাইনে আসার পরে নেটিজেনদের একাংশ ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা করতে শুরু করে। অনেকে এমনভাবে মন্তব্য করতে থাকেন যেন বিবার ক্রিস্টালের প্রতি খারাপ ব্যবহার করেছেন।

এমনকি, ভিডিওর কিছু অংশ কেটে, সেটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়, যা দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হন। এই পরিস্থিতিতে ক্রিস্টাল নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং জানান, কিভাবে আসল ঘটনাকে বিকৃত করা হয়েছে। তিনি পরিষ্কারভাবে জানান, হেইলি বিবার সেদিন তার পাশে ছিলেন এবং তাকে সমর্থন করেছিলেন।

ক্রিস্টাল জানান, তিনি যখন ভিডিওটি আপলোড করেন, তখন তার তেমন কোনো প্রত্যাশা ছিল না। তবে দ্রুতই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই অনলাইনে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

কিছু মানুষ বিবারকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতে শুরু করেন। ক্রিস্টাল এরপর পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে আরেকটি ভিডিও তৈরি করেন। সেই ভিডিওতে তিনি পুরো ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং জানান, কিভাবে অনলাইনে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।

ক্রিস্টাল আরও বলেন, হেইলি বিবার সেদিন তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন এবং নিরাপত্তা রক্ষীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যা অনেকের কাছে হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিল। তিনি বোঝান, অনলাইনে কোনো ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করার আগে এর সত্যতা যাচাই করা উচিত।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ঘটনা পরিবেশনের সময় সঠিক তথ্য এবং প্রেক্ষাপট জানা কতটা জরুরি। কোনো তথ্য যাচাই না করে, শুধুমাত্র কিছু অংশের ওপর ভিত্তি করে মন্তব্য করলে তা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *