হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং গায়িকা হ্যালি বেইলি তার প্রাক্তন প্রেমিক ও সন্তানের বাবা ডিডিজি’র (Darryl Dwayne Granberry) বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্ট ডিডিজি’র বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
মঙ্গলবার, ১৩ই মে তারিখে প্রকাশিত আদালতের নথি থেকে জানা যায়, বেইলি তার প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।
২৫ বছর বয়সী হ্যালি বেইলি অভিযোগ করেছেন, ডিডিজি তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছেন। ডিডিজি একজন র্যাপার এবং টুইচ স্ট্রীমার হিসেবে পরিচিত, তার পুরো নাম ড্যারেল ডওয়েন গ্র্যানবেরি।
তাদের একমাত্র সন্তান, হ্যালো সেন্ট গ্র্যানবেরি, যিনি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন, তিনিও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন। আদালতের নির্দেশে ডিডিজিকে বেইলি ও হ্যালো থেকে ১০০ গজের বেশি দূরে থাকতে হবে।
এমনকি হ্যালোর স্কুল এবং বেইলির গাড়ির আশেপাশেও তিনি থাকতে পারবেন না।
বেইলি এবং ডিডিজি’র সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে এবং তাদের বিচ্ছেদ ঘটে ২০২৪ সালে। অভিযোগপত্রে বেইলি জানিয়েছেন, ডিডিজি প্রায়ই তাকে সবার সামনে “বিচ” বা “শয়তান” বলে গালি দিতেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডিডিজি সামাজিক মাধ্যমে তার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেন, যার ফলে বেইলিকে অনলাইনে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বেইলিের অভিযোগ, ডিডিজি তার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেন এবং হ্যালোকে তার কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আদালতে দাখিল করা নথিতে, বেইলি নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে কিছু ছবি জমা দিয়েছেন, যেখানে তার দাঁত ভাঙা এবং হাতে কালশিটের চিহ্ন দেখা যায়। এছাড়াও, একটি টেক্সট মেসেজও প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হয়েছে, যেখানে বেইলি তার বোন ক্লোয়ি বেইলির সাথে সেন্ট লুসিয়াতে ছুটি কাটানোর কথা উল্লেখ করেছেন।
বেইলি জানান, তিনি চান ডিডিজি যেন তার সম্পর্কে অনলাইনে কোনো ধরনের পোস্ট বা স্ট্রিমিং করা থেকে বিরত থাকেন।
আদালতে দেওয়া বিবৃতিতে বেইলি আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি চান ডিডিজি যেন একটি “ব্যাটারার ইন্টারভেনশন প্রোগ্রাম”-এ অংশ নেন এবং এই প্রোগ্রাম সম্পন্ন করার প্রমাণ দেন। বেইলি বর্তমানে ইতালিতে একটি সিনেমার শুটিং করছেন এবং তিনি হ্যালোর অভিভাবকত্বের জন্য আবেদন করেছেন।
এই মামলার শুনানির জন্য আগামী ৪ঠা জুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
যদি আপনিও পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন, তাহলে বাংলাদেশের সাহায্য সংস্থা ও হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন