হলিউডের অস্কার জয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী হ্যালি বেরি। তাঁর মতে, অস্কার জয় নারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয়নি, তাই এই পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকার বদলে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
২০০২ সালে ‘মনস্টার’স বল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জিতেছিলেন বেরি। অস্কারের প্রায় একশো বছরের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ নারী যিনি এই পুরস্কার জিতেছেন।
সম্প্রতি ‘নাম্বার ওয়ান অন দ্য কল শিট’ নামের একটি তথ্যচিত্রে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন। বেরি জানান, তাঁর এই ঐতিহাসিক জয়ের ২৩ বছর পরেও তিনি মনে করেন, এই পুরস্কার আসলে নারীদের জন্য খুব বেশি কিছু পরিবর্তন আনেনি।
তাঁর ভাষায়, “বিষয়টা আমাকে ভাবায়, এই পুরস্কার কি সত্যিই কোনো পরিবর্তন এনেছিল? আমার মতো অন্য কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের জীবনে কি কোনো প্রভাব ফেলেছিল? আমাদের পথচলায় কি কোনো সাহায্য করেছিল?”
২০২১ সালে যখন ‘দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ভার্সেস বিলি হলিডে’ ছবির জন্য আন্দ্রা ডে এবং ‘মা রেইনি’স ব্ল্যাক বটম’ ছবির জন্য ভায়োলা ডেভিস সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তখন বেরি মনে করেছিলেন, এবার হয়তো কিছু পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেছিলেন, “আমার মনে হয়েছিল, এবার হয়তো তাঁদের মধ্যে থেকেই কেউ একজন এই পুরস্কার জিতবে। দু’জনেরই জেতার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল।”
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন ফ্রান্সেস ম্যাকডর্ম্যান্ড ‘নোম্যাডল্যান্ড’ ছবির জন্য অস্কার জেতেন, তখন বেরির ধারণা পাল্টে যায়।
তাঁর মতে, এই পুরস্কার ব্যবস্থা আসলে তাঁদের জন্য সেভাবে তৈরিই হয়নি। তাই এই পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই।
তথ্যচিত্রে অভিনেত্রী তারাজি পি হেনসন এবং ওহুপী গোল্ডবার্গও সেরা অভিনেত্রী বিভাগে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের কম প্রতিনিধিত্ব নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
গোল্ডবার্গ প্রশ্ন করেন, “তাহলে কি আমাদের কেউই ভালো অভিনেত্রী নই? এত মানুষের মধ্যে, একজনও না? কোথায় যেন একটা বড় ভুল হচ্ছে। প্রতি বছরই তো এই আলোচনা হয়।”
১৯৯০ সালে ‘ঘোস্ট’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রীর অস্কার জিতেছিলেন গোল্ডবার্গ। তাঁর মতে, এই ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো তাঁদের লিড রোল হিসেবে সেভাবে দেখা হয় না।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান