৭০ বছর বয়সে সুস্থ থাকতে চান? গবেষণা বলছে, এই একটি কাজ করুন!

মধ্যবয়সে সঠিক খাদ্যাভ্যাস: সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি, গবেষণায় নতুন তথ্য।

সুস্থ জীবন কে না চায়? আমাদের সকলেরই আকাঙ্ক্ষা থাকে, বয়স বাড়লেও যেন শরীর থাকে সবল ও রোগমুক্ত। সম্প্রতি, হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের একদল গবেষক দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ১ লক্ষেরও বেশি আমেরিকান নাগরিকের খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা আমাদের সুস্থ জীবন যাপনের ধারণা দিতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্য বয়সে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলে ভবিষ্যতে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

গবেষণাটি মূলত ৪০, ৫০ এবং ৬০ বছর বয়সীদের খাদ্যাভ্যাস বিশ্লেষণ করে করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যারা তাদের খাদ্য তালিকায় ফল, সবজি, শস্য, বাদাম, শিম ও কম ফ্যাটযুক্ত খাবার বেশি রেখেছেন, তাদের মধ্যে বৃদ্ধ বয়সে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা স্মৃতিভ্রংশতার মতো সমস্যা কম দেখা গেছে।

অন্য দিকে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়, ফাস্ট ফুড এবং লবণ ও ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণকারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি ছিল।

তাহলে, আমাদের খাদ্য তালিকায় কী ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় ফল ও সবজি রাখা উচিত। যেমন – মৌসুমি ফল, বিভিন্ন ধরনের শাক, সবজি, ডাল, বাদাম ইত্যাদি।

এছাড়াও, কম তেলে রান্না করা মাছ ও মাংস শরীরের জন্য উপকারী। ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন করা উচিত।

বাজারের প্যাকেটজাত খাবারের উপাদান ভালোভাবে দেখে তারপর তা কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই গবেষণার প্রধান বিষয় হলো, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই জরুরি। আপনি যদি মধ্যবয়সে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলেন, তবে ভবিষ্যতে সুস্থ ও সুন্দর জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের চারপাশে সহজলভ্য অনেক খাবার রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে সহায়ক হতে পারে।

তবে, শুধু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলেই হবে না, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, সুস্থ জীবন একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া।

সুতরাং, সুস্থ জীবনের জন্য এখনই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার সময় এসেছে। ফল, সবজি, শস্য এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় যোগ করে আমরা একটি সুন্দর ও রোগমুক্ত জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *