হিটলারোতে আগুন: বিশ্বজুড়ে বিমান ভ্রমণে চরম দুর্ভোগ!

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে আগুন লাগার ফলে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

এতে অন্তত এক হাজার ৩০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

গত ২০শে মার্চ স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে আগুন লাগে। এর ফলে বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

বিমানবন্দরের নিজস্ব বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের অবস্থান এবং এর ফলে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তা বিবেচনা করে মেট্রোর সন্ত্রাস দমন শাখা তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

আমরা সব ধরনের সম্ভাবনা বিবেচনা করছি এবং খুব শীঘ্রই বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।”

২০২৩ সালে হিথ্রো বিমানবন্দর বিশ্বের চতুর্থ ব্যস্ততম বিমানবন্দর ছিল।

এই বিমানবন্দরের এই আকস্মিক বন্ধের কারণে শুক্রবার অন্তত ১,৩০০ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার যাত্রী এই ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের কারণে হিথ্রো বিমানবন্দরে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।

যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ২১শে মার্চ রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে এবং পরবর্তী তথ্যের জন্য নিজ নিজ বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ডেল্টা এয়ারলাইন্স শুক্রবার হিথ্রোর উদ্দেশ্যে তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং টিকিট পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য আগামী রোববার পর্যন্ত ভ্রমণ ছাড় ঘোষণা করেছে।

এই ঘটনার কারণে বাংলাদেশি যাত্রীদের যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য গন্তব্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যারা ট্রানজিট হিসেবে হিথ্রো ব্যবহার করেন, তাদের ফ্লাইট পরিবর্তনে সমস্যা হতে পারে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *