বিশ্বের প্রথম রানওয়ে সৌনা! বিমানবন্দরে এই অভিনবত্ব!

হেলসিঙ্কি বিমানবন্দরের রানওয়েতে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম ‘সোনা’। ফিনল্যান্ডের সংস্কৃতি ও তাদের সুখী দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই এই অভিনব উদ্যোগ। সম্প্রতি, হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ফিন দেশটির ঐতিহ্যবাহী ‘সোনা’ সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

আসলে, ‘সোনা’ হলো ফিনল্যান্ডের মানুষের কাছে খুবই প্রিয় একটি ঐতিহ্য। এটি অনেকটা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী স্নানাগারের মতো, যেখানে গরম বাষ্পের মধ্যে শরীরকে আরাম দেওয়া হয়। ফিনল্যান্ডে প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি ‘সোনা’ রয়েছে, যা দেশটির সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ ছিল ফিনীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান জানানো।

বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছেই অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছিল এই ‘সোনা’। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই যেন যাত্রীরা ফিনল্যান্ডের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ঝলক পান। তবে, এটি ব্যবহারের জন্য ছিল না।

এটি ছিল মূলত এক দিনের জন্য তৈরি করা একটি আকর্ষণ, যা ফিনল্যান্ডের ‘সোনা’ সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসাকে প্রকাশ করে।

ফিন দেশটির বিমানবন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ফিনএভিয়ার বিপণন প্রধান আন্না টুওমি জানান, “অধিকাংশ বিমানবন্দরেই ট্রানজিট জোন থাকে। এমনকি কিছু বিমানবন্দরে ‘সোনা’ও দেখা যায়।

আমাদের এই উদ্যোগ ফিনল্যান্ডের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং মানসিকতাকে তুলে ধরার একটি সুযোগ। আমরা হেলসিঙ্কি বিমানবন্দরে বিশ্বের প্রথম রানওয়ে ‘সোনা’ তৈরি করে ফিনিশ আনন্দের উদযাপন করেছি।”

তবে, হেলসিঙ্কি বিমানবন্দরে ভ্রমণকালে আপনি যদি ‘সোনা’র অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাহলে আপনার জন্য সুযোগ রয়েছে। বিমানবন্দরের মূল টার্মিনাল ভবনে তিনটি ‘সোনা’ রয়েছে, যা সাধারণত লাউঞ্জে অবস্থিত।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৫২ নম্বর গেটের কাছে ফিনএয়ার প্ল্যাটিনাম উইং লাউঞ্জ। এছাড়াও, বিমানবন্দরের কাছাকাছি হোটেলগুলোতেও ‘সোনা’র ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন ক্ল্যারিওন হোটেল হেলসিঙ্কি বিমানবন্দরে।

হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর শুধু যে ‘সোনা’র জন্য বিখ্যাত, তা নয়। স্কাইট্র্যাক্স-এর বিচারে এটি ইউরোপের অন্যতম সেরা বিমানবন্দর হিসেবেও পরিচিত।

ফিনল্যান্ডকে টানা আট বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সুখের পেছনে অন্যতম কারণ হলো তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। রানওয়েতে ‘সোনা’ তৈরির মাধ্যমে তারা তাদের এই সুখী ভাবমূর্তিকে আরও একবার তুলে ধরেছে।

ইউনেস্কোও ফিনল্যান্ডের ‘সোনা’ সংস্কৃতিকে তাদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

আন্না টুওমি আরও বলেন, “ফিনল্যান্ড বিশ্বের সুখী দেশ হিসেবে পরিচিত, এবং ‘সোনা’ ফিনিশ সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা ফিনিশ আনন্দকে উদযাপন করতে এই দুটি বিষয়কে একত্রিত করেছি।”

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *