এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে অনেকেই ‘মিন গার্লস’ বা ‘দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ’-এর কথা বলবেন। কেউ কেউ হয়তো ‘ফ্রাইকি ফ্রাইডে’র কথাও বলতে পারেন।
কিন্তু খুব কম সংখ্যক দর্শকই আছেন যারা লোহানের ‘হার্বি: ফুলি লোডেড’ সিনেমাটির কথা মনে রেখেছেন। ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি মূলত ১৯৬৮ সালের ‘দ্য লাভ বাগ’ সিনেমার পুনর্নির্মাণ।
গল্পটা গড়ে উঠেছে ম্যাগি পেটন নামের এক তরুণীকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি কলেজ পাশ করা ম্যাগি, আর্থিক কারণে একটি পুরোনো ভক্সওয়াগন বিটল (Volkswagen Beetle) কিনতে বাধ্য হয়।
এরপরই সে আবিষ্কার করে, গাড়িটির নিজস্ব একটা সত্তা আছে, সে চিন্তা করতে পারে, অনুভব করতে পারে এবং অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারে। মজার বিষয় হলো, গাড়িটির নাম হার্বি।
এরপর ম্যাগি এবং হার্বির মধ্যে গড়ে ওঠে এক দারুণ বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই তারা এক রোমাঞ্চকর অভিযানে নামে, যা ডিজনির সিনেমার দর্শকদের মন জয় করে।
‘হার্বি: ফুলি লোডেড’ সিনেমায় লিন্ডসে লোহানের বিপরীতে ছিলেন একাধিক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী। মাইকেল কটনকে দেখা গেছে ম্যাগি’র বাবার চরিত্রে, ম্যাট ডিলন ছিলেন ম্যাগি’র প্রতিদ্বন্দ্বীর ভূমিকায়, ব্রেকিন মেয়ার ম্যাগি’র ভাই এবং জাস্টিন লং-কে দেখা গেছে ম্যাগি’র প্রেমিকের চরিত্রে।
এছাড়া, শেরিল হাইনস-ও ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে। এই সিনেমা প্রমাণ করে, একসময় লিন্ডসে লোহান কতটা জনপ্রিয় ছিলেন।
সিনেমার গল্পে হার্বি চরিত্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হার্বি যেন দর্শকদের জন্য এক নতুন আকর্ষণ ছিল। সে তার নিজস্ব কায়দায় অন্যদের সঙ্গে মিশে যেত, হাসিখুশি মেজাজে সবার মন জয় করে নিত।
এমনকি, প্রয়োজন মতো সে তার ভালোবাসার মানুষের জন্য সবকিছু করতেও প্রস্তুত ছিল।
সিনেমার গল্পে ম্যাগি এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রিপের মধ্যকার সম্পর্কটাও বেশ মজার। ট্রিপ একজন পেশাদার রেসিং কার ড্রাইভার। অন্যদিকে, ম্যাগি সবেমাত্র কলেজ শেষ করেছে এবং জীবনের নতুন পথে পা বাড়িয়েছে।
তবুও, হার্বির সঙ্গে ম্যাগি’র একটি রেসে হারার পর ট্রিপ যেন প্রতিশোধ নিতে উঠেপড়ে লাগে।
অবশেষে, ডিজনির এই সিনেমায় একটি শিক্ষামূলক দিকও ছিল। গল্পটা ছিল অনেকটা ডেভিড বনাম গোলিয়াথের মতো। যেখানে দুর্বল একটি দল, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
হার্বি শুধু নিজের সম্মান বাঁচায়নি, বরং ম্যাগিকে তার স্বপ্ন পূরণেও সাহায্য করেছে। এক পর্যায়ে ম্যাগি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং সেখানে জয়লাভ করে।
যদিও ‘হার্বি: ফুলি লোডেড’ সিনেমাটি সেভাবে পরিচিতি পায়নি, তবে যারা ছোটবেলায় হার্বিকে ভালোবেসেছিলেন, তাদের কাছে এটি আজও একটি ক্লাসিক সিনেমা।
ডিজনির পক্ষ থেকে যদি লিন্ডসে লোহানকে নিয়ে নতুন কোনো সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করা হয়, তাহলে ‘ফ্রাইকি ফ্রাইডে’র মতো এটিও হতে পারে দারুণ একটি পছন্দ।
তথ্য সূত্র: পিপল