শেষ খেলায় বাবার আবেগ, মায়ের আলিঙ্গন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া দৃশ্য!

শিরোনাম: বিদায় বেলায় আবেগঘন মুহূর্ত, বাবার পিচে ছেলের শেষ ম্যাচ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনার একটি হাই স্কুলে, সম্প্রতি শেষ হওয়া এক বেসবল ম্যাচে এক হৃদয়স্পর্শী দৃশ্যের অবতারণা হয়।

সেখানকার সিনিয়র শিক্ষার্থীরা, যারা শীঘ্রই হাই স্কুল থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে, তাদের জন্য বিশেষভাবে এই ম্যাচটির আয়োজন করা হয়েছিল।

খেলা শেষে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাদের বাবা একটি করে শেষ পিচ করেন, আর যখন তারা হোম বেসে পৌঁছায়, তখন তাদের মা অপেক্ষা করছিলেন উষ্ণ আলিঙ্গন জানানোর জন্য।

খেলার মাঠটিতে উপস্থিত ছিলেন নয় জন শিক্ষার্থী, এবং তাদের প্রত্যেকের জন্য বাবা-মায়ের লেখা আবেগপূর্ণ চিঠি পাঠ করা হয়।

এই বিশেষ মুহূর্তগুলো যেন তাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে, যা তারা সবসময় মনে রাখবে।

এই ব্যতিক্রমী আয়োজনটির মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন কোচ হ্যামিল্টন বেনেট।

তিনি জানান, প্রাক্তন কোচ, যিনি একসময় এই স্কুলের শিক্ষকও ছিলেন, তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতেই এমন আয়োজন।

বেনেট আরও বলেন, “এই কাজটি যে কারো জন্য কঠিন হতো।

আমি কৃতজ্ঞ যে আমি এই সুযোগটা পেয়েছি।”

১৭ বছর বয়সী জ্যাকসন গর্ডন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, এই মুহূর্তটি ছিল আবেগপূর্ণ এবং স্মৃতিতে ভরপুর।

তিনি বলেন, “ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সাথে উঠোনে খেলা থেকে শুরু করে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত—সবকিছুই যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছিল।

বাবার পিচ করা এবং মায়ের আলিঙ্গন—বিদায় বলার এর থেকে ভালো উপায় আর কিছু হতে পারে না।”

গর্ডনের বাবা-মা তাদের চিঠিতে ছেলের হাই স্কুল জীবনের সমাপ্তি নিয়ে অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন।

চিঠিতে তারা লেখেন, “আজকের এই দিনটা এত দ্রুত আসবে, তা আমরা কল্পনাও করিনি।

এই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলেও, আমরা আরও বেশি আগ্রহী তোমার ভবিষ্যৎ জীবনের দিকে তাকিয়ে।

তুমি কেমন মানুষ হয়ে উঠলে, সেটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

খেলাধুলা, বিশেষ করে বেসবল, হয়তো আমাদের দেশে খুব একটা পরিচিত নয়, তবে এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা এবং তাদের সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করা—এটি একটি সার্বজনীন অনুভূতি।

পরিবারের সমর্থন আর ভালোবাসাই যে কোনো মানুষের এগিয়ে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা, তা এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *