হিলারি সোয়াঙ্ক: শিশুদের লালন-পালনে নতুন দিশা
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অভিনেত্রী হিলারি সোয়াঙ্ক সম্প্রতি তার দুই বছর বয়সী যমজ সন্তানের লালন-পালন নিয়ে কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের প্রতি কিভাবে সহানুভূতিশীল হতে হয় এবং তাদের আবেগগুলোকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সে সম্পর্কে তিনি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলো সকলের সাথে শেয়ার করেছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি অনুষ্ঠানে, যেখানে তিনি শিশুদের জন্য কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘দ্য কলিগস চ্যাম্পিয়ন অফ চিলড্রেন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন, সেখানেই তিনি তার সন্তানদের নিয়ে কথা বলেন। এপ্রিল ২০২৩-এ তিনি তার যমজ সন্তান, আয়া এবং ওহম-কে স্বাগত জানান।
সাধারণত শিশুদের জীবনের এই সময়ে, যখন তারা দুই বছরে পা দেয়, তাদের মধ্যে এক ধরণের অস্থিরতা দেখা যায়, যা অনেক অভিভাবকের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে। তবে হিলারি এই সময়টাকে ‘টেচেবল টুয়েন্টিস’ বা ‘শিক্ষণীয় শৈশব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তার মতে, শিশুরা এই বয়সে নতুন অনেক কিছু শিখতে শুরু করে, যা তাদের জন্য বেশ কঠিন হতে পারে। তাদের আবেগগুলোও নতুন এবং তারা সবকিছু নিয়েই কৌতূহলী থাকে। তাই, এই সময়টাকে তিনি তাদের শেখার এবং বোঝার একটি সুযোগ হিসেবে দেখেন।
সোয়াঙ্ক বিশেষভাবে জোর দেন, শিশুদের আবেগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নিজেদের শান্ত থাকাটা জরুরি। তিনি বলেন, “এই সময়ে শান্ত থাকা এবং শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু শিশুদের লালন-পালনই নয়, হিলারি সোয়াঙ্ক মাতৃত্বের পর নিজের শরীরের পরিবর্তনগুলো কিভাবে গ্রহণ করেছেন, সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমি আমার শরীরের এই পরিবর্তনকে সম্মান করি।
কারণ এই শরীরই আমার সন্তানদের ধারণ করেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আগের মতো শরীর চাই না, বরং এই নতুন শরীরের প্রতি কৃতজ্ঞ।
হিলারির এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সমাজে শিশুদের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হতে এবং মায়েদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করে। তার এই পরামর্শগুলো, বিশেষ করে যারা নতুন মা হয়েছেন, তাদের জন্য খুবই মূল্যবান।
তথ্য সূত্র: পিপল