বিশ্বের অন্যতম সেরা হাইকিং ট্রেইলের স্বীকৃতি পাওয়া একটি রেইনফরেস্ট, যা কিনা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শান্ত জায়গা!
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অলিম্পিক ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে অবস্থিত ‘হোহ রেইনফরেস্ট’। এখানকার মনোরম দৃশ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এই জায়গাটি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। সম্প্রতি, ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘অলট্রেইলস’ তাদের ‘২০২৫ সালে ঘুরে দেখবার মতো ২৫টি স্থান’-এর তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে এই রেইনফরেস্টের একটি হাইকিং ট্রেইলকে। জায়গাটির বিশেষত্ব হল, এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে শান্ত জায়গা হিসেবেও পরিচিত।
হোহ রেইনফরেস্টের প্রধান হাইকিং ট্রেইলটির নাম ‘হোহ রিভার ট্রেইল টু মিনারেল ক্রিক ফলস’। ঘন সবুজ গাছপালা আর ফার্ন গাছের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়াটা যেন এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এই ট্রেইল ধরে হেঁটে গেলে ৬০ ফুট উঁচু মিনারেল ক্রিক জলপ্রপাতের দেখা মেলে। সাধারণত, পর্যটকেরা জলপ্রপাতটি দেখে ফিরে আসেন। ‘অলট্রেইলস’-এর তথ্য অনুযায়ী, এই ট্রেইলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫.৫ মাইল এবং এটি ‘সহজ’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত। হাইকিং করতে আসা পর্যটকদের সাধারণত ২ ঘণ্টার কম সময় লাগে।
বৃষ্টির কারণে এখানকার প্রকৃতি সবুজে মোড়া থাকে। বছরে প্রায় ১৪০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয় এখানে। শীতকালে এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে। পর্যটকেরা কনিফার ও পর্ণমোচী গাছের সবুজ ছাউনির নিচে হেঁটে যান, যা তাদের মনকে শান্ত করে তোলে। এছাড়া, তারা মস দ্বারা আবৃত পাথর এবং ফার্ন সমৃদ্ধ বনভূমির মধ্যে দিয়ে হাঁটার সুযোগ পান।
‘অলট্রেইলস’-এর তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য হাইকিং ট্রেইলের মতো, হোহ রেইনফরেস্টের এই হাইকিং ট্রেইলটিও সারা বিশ্ব থেকে বাছাই করা হয়েছে। তালিকায় ইতালির ফেডাইয়া পাস, কানাডার ফোর লেকস ট্রেইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের ফ্রিডম ট্রেইলের মতো স্থানগুলোও রয়েছে।
‘অলট্রেইলস’-এর প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রন স্নাইডারম্যান এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা শুধু জনপ্রিয়তার দিকে নজর না দিয়ে, এমন সব স্থান নির্বাচন করেছি যা সত্যিই বিশেষ কিছু। প্রকৃতির এই বিস্ময়কর রূপ আমাকে মুগ্ধ করে। আশা করি, এই তালিকা মানুষকে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে এবং নিজেদের মধ্যে এক ধরনের আনন্দের অনুভূতি খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।”
হোহ রেইনফরেস্ট অলিম্পিক ন্যাশনাল পার্কের পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে যেতে হলে ১০১ নম্বর হাইওয়ে থেকে আপার হোহ রোড ধরে যাওয়া যায়। ওয়াশিংটনের পোর্ট অ্যাঞ্জেলেস শহর থেকে গাড়ি করে এখানে পৌঁছাতে প্রায় ২ ঘণ্টা লাগে, আর ফর্কস শহর থেকে এক ঘণ্টারও কম সময়ে আসা যায়।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও কোনো অংশে কম নয়। সুন্দরবন সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনো প্রকৃতির অপরূপ রূপ বিদ্যমান। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতন হওয়া এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: