হলিউডের অন্ধকারে: নতুন সিরিজে উন্মোচন, স্তম্ভিত দর্শক!

নতুন একটি ওয়েব সিরিজে আধুনিক হলিউডের অন্দরমহল: ‘দ্য স্টুডিও’

হলিউডের ঝলমলে দুনিয়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকা কঠিন বাস্তবতার চিত্র এবার দর্শকের সামনে তুলে ধরছে নতুন একটি ওয়েব সিরিজ, ‘দ্য স্টুডিও’। অ্যাপল টিভিতে মুক্তি পাওয়া ১০ পর্বের এই সিরিজে অভিনয় করেছেন সেথ রোগেন।

সিরিজের গল্প সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা এবং এর প্রধানদের কেন্দ্র করে বোনা হয়েছে।

সাধারণত, স্টুডিও প্রধানদের ক্ষমতার দাপট এবং একচ্ছত্র আধিপত্যের কথা শোনা যায়। সিনেমায় একটি চরিত্রের ভাগ্য নির্ধারণ থেকে শুরু করে বিশাল পরিবর্তনের ক্ষমতা থাকে তাদের হাতে।

কিন্তু ‘দ্য স্টুডিও’-তে রোগেনের চরিত্র ম্যাট রেমিখের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে, কীভাবে এই ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাও সিনেমার বাজারের জটিলতা এবং নানা ধরনের চাপের শিকার হন।

তিনি একটি কাল্পনিক স্টুডিও, কন্টিনেন্টাল স্টুডিওজের প্রধান। যদিও তার ভালো সিনেমা বানানোর প্রবল ইচ্ছা, তবুও তাকে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ছবি বানাতে হয়।

সিরিজে দেখানো হয়েছে, কিভাবে বর্তমান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি, সুপারহিরো এবং হরর সিনেমার চাহিদা বাড়ছে। সেই কারণে ভালো সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখা প্রযোজকদের অনেক সময় আপস করতে হয়।

অনেক সময় এমন সব সিনেমা বানাতে হয়, যা হয়তো তাদের নিজেদেরও পছন্দের নয়, কিন্তু ব্যবসার খাতিরে করতে বাধ্য হন তারা।

সিরিজটিতে মার্টিন স্করসেসি, টেড সারান্ডোস এবং জো ক্র্যাভিটজ-এর মতো খ্যাতিমানদের উপস্থিতি একে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

সিনেমার ভেতরের নানা দিক, যেমন – সিনেমার গল্প নির্বাচন থেকে শুরু করে অভিনেতা নির্বাচন, এমনকি সিনেমার প্রচারণার মতো বিষয়গুলোও এতে তুলে ধরা হয়েছে।

‘সুপারব্যাড’, ‘পাইনঅ্যাপেল এক্সপ্রেস’ ও ‘দিস ইজ দ্য এন্ড’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমার নির্মাতা সেথ রোগেন এবং ইভান গোল্ডবার্গ এই সিরিজের লেখক ও পরিচালক।

তাদের মতে, ‘দ্য স্টুডিও’ হলিউডের সোনালী দিনের স্মৃতিচারণ নয়, বরং এটি বর্তমান সময়ের একটি প্রতিচ্ছবি।

যেখানে নির্মাতারা তাদের সৃজনশীলতার সঙ্গে ব্যবসায়িক চাহিদার মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।

সিরিজটি মূলত তৈরি হয়েছে এমন সব মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে, যারা এখনও বিশ্বাস করেন, হলিউডে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে কাজ করতে পারে।

নির্মাতারা তাদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই এই সিরিজের গল্প তৈরি করেছেন। তাই এটি দর্শকদের কাছে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

হলিউডের ভেতরের এই গল্প দর্শকদের কতটা আকর্ষণ করে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *