বাড়ি কেনা কি কঠিন? আপনার এলাকার চিত্র!

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কেনার সামর্থ্য ক্রমশ কমছে, বিশেষ করে বেশ কয়েকটি শহরে। কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে দেশটির আবাসন বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।

ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ আটলান্টা’র একটি নতুন সূচক এই প্রবণতা তুলে ধরেছে।

আবাসন একটি মৌলিক চাহিদা, এবং একটি পরিবারের আর্থিক স্বাস্থ্যের উপর এর সরাসরি প্রভাব রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ।

ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে যেখানে বাড়ির গড় দাম ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার মার্কিন ডলার, সেখানে ২০২৩ সালের আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার মার্কিন ডলারে।

অর্থাৎ, এই সময়ে বাড়ি তৈরির খরচ বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ।

আবাসন বাজারের এই অস্থিরতা বুঝতে, আটলান্টা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক একটি ‘হোম ওনারশিপ অ্যাফোর্ডেবিলিটি মনিটর’ (HOAM) সূচক তৈরি করেছে।

এই সূচকটি কোনো নির্দিষ্ট এলাকার গড় আয়ের পরিবারগুলোর জন্য একটি গড় দামের বাড়ি কেনার সামর্থ্য যাচাই করে।

সূচকটি মূলত তুলনা করে একটি পরিবারের গড় আয় এবং একটি বাড়ির মাসিক খরচ, যা তাদের আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।

যদি এই সূচকের স্কোর ১০০ বা তার বেশি হয়, তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে একটি পরিবারের গড় আয় সেই এলাকার গড় দামের বাড়ি কেনার জন্য যথেষ্ট।

কিন্তু স্কোর যদি ১০০ এর কম হয়, তাহলে বুঝতে হবে, তাদের পক্ষে ওই দামে বাড়ি কেনা কঠিন।

এই বিশ্লেষণের মূল দিক হলো, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহরেই এখন বাড়ি কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলের শহরগুলোতে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

এর কারণ হতে পারে বাজারের চাহিদা বৃদ্ধি, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, অথবা সুদের হার বৃদ্ধি। এই বিষয়গুলো একটি বাড়ির মালিকানার খরচকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আটলান্টা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই পরিবর্তনগুলো মূলত এলাকাভিত্তিক। তাই, বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জন্য বাড়ির দামের সামর্থ্যের বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে।

এই ধরনের সূচকগুলো অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং নীতিনির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে আবাসন বাজার এবং অর্থনীতির গতি প্রকৃতি বুঝতে এর ব্যবহার আরও বাড়বে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *