মারথা স্টুয়ার্টের ‘অনুসারী’, ঘর সাজিয়ে তাক লাগালেন তরুণী, ভাইরাল ভিডিও!

নিজের ঘরকে সাজান, অল্প খরচে! – এই মন্ত্র নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের লেটন শহরে বসবাসকারী ২৬ বছর বয়সী ক্লিও টার্নার শুরু করেছেন এক অভিনব উদ্যোগ।

বিখ্যাত লাইফস্টাইল গুরু মার্থা স্টুয়ার্টের অনুপ্রেরণায় তিনি তার নতুন বাড়ির সাজসজ্জা ও সংস্কারের কাজ শুরু করেন। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি তিনি টিকটকে ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেন, যার নাম দিয়েছেন “মার্থা স্টুয়ার্ট বুট ক্যাম্প”।

ক্লিও জানান, নতুন বাড়িতে উঠার পর তিনি চেয়েছিলেন ঘরটিকে নিজের মতো করে সাজাতে, কিন্তু বাজেট ছিল সীমিত।

তাই তিনি পুরনো জিনিসপত্র কেনা এবং ঘরের টুকিটাকি নিজে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে তিনি নিজের রান্নাঘর ও দরজার জন্য পর্দা তৈরি করেন। এরপর তিনি তার এই কাজগুলো ভিডিও করে টিকটকে আপলোড করতে শুরু করেন।

তার এই “বুট ক্যাম্প”-এর প্রতিটি পর্বে তিনি দেখান কীভাবে অল্প খরচে ঘরকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।

ক্লিও বলেন, “ছোটবেলায় আমি আমার মায়ের সঙ্গে মিলে ঘরের বিভিন্ন ডেকোরেশনের কাজ করতাম। মার্তা স্টুয়ার্টের কাজ আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেছে।

নিজের বাড়ি হওয়ায় এই কাজগুলো করার সুযোগ হয়েছে, যা আমার ভেতরের সৃজনশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “প্রথমে মনে হয়েছিল, পুরো ঘর নতুন করে সাজানো অনেক কঠিন ও ব্যয়বহুল। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারলাম, ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোও ঘরের চেহারায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।”

ক্লিও’র এই “মার্থা স্টুয়ার্ট বুট ক্যাম্প”-এর ধারণাটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার প্রথম ভিডিওটি কয়েক মিলিয়ন ভিউ হয় এবং স্বয়ং মার্থা স্টুয়ার্টও তার এই কাজে মুগ্ধ হয়ে মন্তব্য করেন।

ক্লিও’র মতে, এই কাজটি তাকে অনেক আনন্দ দেয়, যা মা হওয়ার পর তিনি কিছুটা হারিয়ে ফেলেছিলেন।

তিনি বলেন, “নিজের হাতে কিছু তৈরি করার মধ্যে অন্যরকম একটা তৃপ্তি আছে। ঘরের প্রতিটি জিনিসকে নিজের মতো করে সাজানোটা আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়।”

ক্লিও’র মা-ও তার এই কাজে সবসময় উৎসাহ জুগিয়েছেন।

ক্লিও জানান, মায়ের কাছ থেকে তিনি ডিজাইন ও সজ্জার ধারণা পান। মায়ের পরামর্শগুলো তাকে নতুন কিছু করতে উৎসাহিত করে।

যারা নিজেদের ঘরকে সাজাতে চান, তাদের জন্য ক্লিও’র পরামর্শ হলো, “অল্প কিছু জিনিস যোগ করেও ঘরকে সুন্দর করা যায়।

এর জন্য অনেক বেশি অর্থ খরচ করার প্রয়োজন নেই। সামান্য চেষ্টা ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে, যে কেউ নিজের ঘরকে মনের মতো করে সাজাতে পারে।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে তিনি তার এই “বুট ক্যাম্প” চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং তার স্বামীর সাহায্য নিয়ে আরও নতুন কিছু করার চেষ্টা করবেন।

তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *