হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের উপর দমননীতি আরও জোরদার করা হয়েছে। সেখানকার সরকার ১৬ জন প্রবাসী কর্মীর পাসপোর্ট বাতিল করেছে এবং তাদের আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার হংকং কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে। এর আগে, গত জুলাই মাসে এই কর্মীদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। হংকংয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, এই কর্মীদের কোনো ধরনের আর্থিক সাহায্য করা যাবে না। এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য বা যৌথ উদ্যোগে অংশ নেওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
হংকং সরকার জানাচ্ছে, এই ১৬ জন কর্মী যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বেইজিং এবং হংকং সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন।
২০১৯ সালের সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পর হংকংয়ে চীন সরকার জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করে। এরপর থেকে বহু গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে হয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, না হয় তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অথবা তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। নতুন এই পদক্ষেপ সেই আইনেরই অংশ।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ হংকং সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তারা মনে করে, এটি হংকংয়ের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের উপর আঘাত। তবে, বেইজিং এবং হংকং সরকার বলছে, তারা স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। হংকংয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই নিরাপত্তা আইন তাদের শহরের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি।
আগে, এই কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য হংকং পুলিশ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস