হংকংয়ের মডেল অ্যাবি চইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর প্রাক্তন স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
একইসঙ্গে, প্রাক্তন স্বামীর দেশত্যাগে সহায়তার অভিযোগে দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, ২৮ বছর বয়সী অ্যাবি চই নিখোঁজ হন। এর কয়েক দিন পর তাই পো এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে তাঁর খণ্ডিত দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
তদন্তকারীরা জানান, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করা হয় এবং মাংস প্রক্রিয়াকরণের যন্ত্র ও বৈদ্যুতিক করাত ব্যবহার করা হয়েছিল।
দেহের কিছু অংশ স্যুপের পাত্রে পাওয়া যায়। এছাড়াও, বাড়ির ফ্রিজারেও আরও কিছু অংশ পাওয়া যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অ্যাবি চইয়ের প্রাক্তন স্বামী কোয়াং কং-চি, তাঁর ভাই এবং বাবার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কোয়াংয়ের মা জেনি লি সুই-হিউং-এর বিরুদ্ধেও তদন্তকারীদের ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ছিল একটি তিক্ত আর্থিক বিবাদ।
অ্যাবি চই একজন প্রভাবশালী মডেল ছিলেন এবং প্যারিস ফ্যাশন উইকে তাঁর উপস্থিতি ছিল।
বিবাহবিচ্ছেদের পরেও তিনি কোয়াংয়ের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতেন।
অভিযোগ রয়েছে, অ্যাবি চইয়ের মৃত্যুর পর, কোয়াং কং-চি নৌকায় করে ম্যাকাও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে, তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লাম শান ও আইরিন পুন হাউ-ইন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁরা কোয়াংয়ের পালানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।
আদালতে পেশ করা প্রমাণ থেকে জানা যায়, লাম ও পুন, কোয়াংকে পালাতে সাহায্য করার সময় জানতেন যে তিনি পুলিশের চোখে পলাতক।
যদিও তাঁরা জানতেন না যে তিনি অ্যাবি চইয়ের প্রাক্তন স্বামী এবং একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন।
আদালত এই দুজনকে ‘বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
আগামী ২৭শে জুন তাঁদের সাজা ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, কোয়াং এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের শুনানি এখনও হংকং হাইকোর্টে বিচারাধীন।
এই মামলার শুনানির তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
তথ্য সূত্র: পিপল