অবশেষে নাম পেল হংকং-এর পান্ডা! কি নাম জানেন?

হংকং-এ জন্ম নেওয়া দুটি নতুন পান্ডা শাবকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদের নাম রাখা হয়েছে “জিয়া জিয়া” এবং “দে দে”।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই নামগুলি ঘোষণা করে। এই শাবক দুটি হংকং-এ জন্ম নেওয়া প্রথম পান্ডা, তাই তাদের নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

শাবক দুটির নামকরণের জন্য একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের পছন্দের নাম জমা দেন। এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ৩৫,৭০০ জনের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মেয়ে শাবকটির নাম “জিয়া” রাখা হয়েছে, যার অর্থ পারিবারিক বন্ধন, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি। অন্যদিকে, ছেলে শাবকটির নাম “দে” রাখা হয়েছে, যার অর্থ সাফল্য এবং গুণাবলী।

এই নামগুলি হংকংবাসীর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, যা তাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত।

চিড়িয়াখানার চেয়ারম্যান পাওলো পং জানান, পান্ডা শাবকগুলির নামের ক্ষেত্রে তারা ঐতিহ্য অনুসরণ করেছেন।

“জিয়া” শব্দটি “দিদি” (বড় বোন) এবং “দে দে” শব্দটি “ছোট ভাই”-এর মতো শোনায়, যা স্থানীয় ক্যান্টনিজ ভাষায় ব্যবহৃত হয়।

ক্যান্টনিজ হংকংয়ের অনেক মানুষের মাতৃভাষা।

এই শাবকগুলির জন্ম হংকংয়ের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। পর্যটকদের মধ্যে পান্ডাদের জনপ্রিয়তা অনেক।

অনেকেই তাদের দেখতে চিড়িয়াখানায় ভিড় করছেন। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে তাদের নিয়ে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে।

এই কারণে, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই গ্রীষ্ম এবং আসন্ন উৎসবের মরসুমে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে, যা তাদের ব্যবসার উন্নতিতে সহায়তা করবে।

পান্ডা চীন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। চীন সরকার বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানায় পান্ডা পাঠিয়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে।

পান্ডা প্রদানের এই কার্যক্রম “সফট পাওয়ার ডিপ্লোমেসি” নামে পরিচিত।

পান্ডা শাবকগুলির জন্ম তাদের মা ইং ইং-এর জন্য একটি বিশেষ ঘটনা ছিল, কারণ তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রথমবার মা হওয়া পান্ডা।

হংকংয়ের এই নতুন আকর্ষণ সেখানকার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *