বিচারকদের অভিশংসন: ট্রাম্পের চাওয়া, হাউস রিপাবলিকানদের চালে নয়া মোড়?

যুক্তরাষ্ট্রের বিচারকদের অভিশংসন: রিপাবলিকানদের কৌশল পরিবর্তন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলের নেতারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিমালার বিরুদ্ধে রায় দেওয়া ফেডারেল বিচারকদের অভিশংসন (impeachment) করার চেষ্টা থেকে সরে আসছেন। তারা এখন বিকল্প পথে হাঁটছেন এবং বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করতে নতুন আইন প্রণয়নের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।

এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ হলো, অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন তাদের কাছে নেই। প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির প্রধান জিম জর্ডান সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছেন। খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পও শুরুতে বিচারকদের অভিশংসনের পক্ষে ছিলেন, তবে দলের নেতাদের আপত্তির কারণে এখন তিনি ভিন্নমত পোষণ করছেন।

রিপাবলিকান নেতারা এখন বিচার বিভাগ সম্পর্কিত শুনানির আয়োজন, জেলা আদালতগুলোর অর্থায়ন পর্যালোচনা এবং বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের ওপর জোর দিচ্ছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ড্যারেল ইসা এমন একটি বিলের প্রস্তাব করেছেন, যা জেলা আদালতগুলোকে দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষমতা সীমিত করবে। এই বিলটি চলতি সপ্তাহেই প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির জন্য উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরেকটি বিষয় হলো, বিচারকদের অভিশংসন একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এর নজির তৈরি হলে তা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রিপাবলিকান দলের অনেক সদস্য মনে করেন, অভিশংসন প্রক্রিয়া সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন ছাড়া কোনো বিচারককে অভিশংসন করা প্রায় অসম্ভব।

এদিকে, ডেমোক্র্যাটরাও অতীতে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যখন তারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কিছু নীতিমালার বিরুদ্ধে আদালতের রায় পেয়েছিলেন। তাদের প্রস্তাবগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল, রক্ষণশীল বিচারকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যেন কোনো একক আদালতের রায়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী কোনো নীতিকে বাধা দেওয়া না যায়।

এই ইস্যুতে রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভেদও রয়েছে। কতিপয় কট্টরপন্থী সদস্য বিচারকদের অভিশংসনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। তবে দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এই পথে হাঁটা তাদের জন্য রাজনৈতিকভাবেrisky হতে পারে। যদিও এই মুহূর্তে রিপাবলিকান নেতারা কিছুটা সময় নিচ্ছেন, তবে অনেকেই মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত এই বিতর্কের একটি সমাধান আসবেই।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *