মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল নির্বাচনে ভোটার তালিকাভুক্তির জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিলের বিধান চেয়ে একটি বিল পাশ হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির প্রতিনিধি পরিষদে এই সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়, যা বর্তমানে সিনেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
যদিও ফেডারেল নির্বাচনে অ-নাগরিকদের ভোট দেওয়া ইতিমধ্যেই অবৈধ, তবুও এই বিলটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।
রিপাবলিকান দল এই বিলের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানাচ্ছে। তাদের ভাষ্যমতে, এটি নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এমনকি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই ধরনের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জুগিয়েছেন।
তবে ডেমোক্রেট দলের পক্ষ থেকে এই বিলের বিরোধিতা করা হচ্ছে। তাদের মতে, এই বিলটি ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তুলবে এবং এর ফলে অনেক বৈধ ভোটারের ভোটাধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক নন এমন মানুষের ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ঘটনা বিরল। তারপরও, রিপাবলিকানদের এই পদক্ষেপকে অনেকে ভোটার অধিকার খর্ব করার একটি কৌশল হিসেবে দেখছেন।
বিলটি আইনে পরিণত হলে ভোটার তালিকাভুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে। এর ফলে, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট বা অন্য কোনো প্রমাণপত্র নেই এমন অনেক নাগরিককে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ ভোটারের কাছে সহজে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নেই।
বিরোধী দলগুলোর আশঙ্কা, এই বিলের কারণে অনেক যোগ্য ভোটার নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হবেন এবং নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়বে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ একটি সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে, যেখানে আসলে কোনো সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে, ডেমোক্রেটদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিনেটে অনুরূপ একটি বিল পাস হয়নি। বর্তমানে, বিলটি সিনেটে গেলে এর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন