নতুন করে নির্মিত ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’ (হাও টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন) সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই বাজিমাত করেছে। মুক্তির পরেই এটি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমা হলগুলোতে শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে।
সিনেমাটি নির্মাণ করেছে ইউনিভার্সাল পিকচার্স। খবর অনুযায়ী, সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে ৮ কোটি ৩৭ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে একটি রেকর্ড।
বিশ্লেষকদের ধারণা ছিল, সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ৭ কোটি ডলার আয় করতে পারে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে এটি সেই প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ‘লাইলো ও স্টিচ’ (লাইলো ও স্টিচ) -এর মতো জনপ্রিয় সিনেমাকেও এটি পেছনে ফেলেছে, যা গত তিন সপ্তাহ ধরে বক্স অফিসের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল।
কমস্কোর-এর সিনিয়র বিশ্লেষক পল ডেরগারাবেডিয়ান জানিয়েছেন, “পরিবার-বান্ধব সিনেমাগুলোর চাহিদা এখনো অনেক বেশি। ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’-এর ক্ষেত্রে নস্টালজিয়ার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
এই সিনেমাগুলো মুক্তির আগে বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে।”
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’-এর প্রথম সিনেমাটি সেসময় প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লক্ষ ডলার আয় করেছিল।
২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৮ কোটি ১০ লক্ষ ডলার আয় করে।
ফাদার্স ডে উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি দর্শকদের ভালোই পছন্দ হয়েছে। ফ্যান্ডাঙ্গোর পরিচালক এবং বক্স অফিস থিওরির প্রতিষ্ঠাতা শॉन রবিন্স জানিয়েছেন, “ফাদার্স ডে-তে ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’ মুক্তি দেওয়া একটি দারুণ সিদ্ধান্ত ছিল।
কারণ এটি শুধু একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিনেমার রিমেক নয়, বরং বাবা ও ছেলের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি শক্তিশালী গল্পও বটে।”
এই বছর, সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি পাওয়া পরিবার-বান্ধব সিনেমাগুলো ভালো ব্যবসা করেছে। কমস্কোর-এর তথ্য অনুসারে, এই বছর এখন পর্যন্ত পরিবার-বান্ধব সিনেমাগুলো ১.৫৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা মোট আয়ের ৪১ শতাংশ।
তবে সব লাইভ-অ্যাকশন ছবি বক্স অফিসে সফল হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, ডিজনি-র ‘স্নো হোয়াইট’ (স্নো হোয়াইট) মুক্তির প্রথম সপ্তাহে মাত্র ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার আয় করেছে।
লাইভ-অ্যাকশন রিমেকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা সিনেমাগুলোও ডিজনির। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’ (বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট) ২৩ কোটি ৪ লক্ষ ডলার এবং ২০১৯ সালের ‘দ্য লায়ন কিং’ (দ্য লায়ন কিং) ২৪ কোটি ৩ লক্ষ ডলার আয় করেছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজরের ডেভিড এ. গ্রস বলেছেন, ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’ অনেকটা ‘সনিক দ্য হেজহগ’ (সনিক দ্য হেজহগ)-এর মতো, যেখানে অ্যানিমেশন এবং মানুষের চরিত্রগুলোর মিশ্রণ রয়েছে।
বর্তমানে, গ্রীষ্মের সিনেমা ব্যবসার মরসুম চলছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিনেমা হলগুলোতে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় হতে চলেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন