উত্তর ক্যারোলিনার হয়ে ল্যাক্রোস খেলায় নেমে এক অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়লেন তিন বোন। ক্লোই, অ্যাশলি এবং নিকোল হামফ্রের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভর করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনা (ইউএনসি)।
গত রবিবার, ২৫শে মে অনুষ্ঠিত হওয়া ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন (এনসিএএ) মহিলা ল্যাক্রোস চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তারা নর্থওয়েস্টার্নকে ১২-৮ গোলে পরাজিত করে।
ম্যাচে সবার নজর ছিল কনিষ্ঠ বোন ক্লোইয়ের দিকে, যিনি ছিলেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
তিনি একাই করেছেন ৪টি গোল। অন্যদিকে, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী অ্যাশলি ৪টি গোলে সহায়তা করেন।
খেলার ফলাফল ছিল সত্যিই অসাধারণ। এই জয়ের পেছনে ছিল বোনদের একতা ও কঠোর পরিশ্রম।
তবে এই পথটা সহজ ছিল না। সবার বড় বোন নিকোল প্রথমে ইউএনসিতে খেলা শুরু করলেও পরে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান।
সেখানে ইনজুরির কারণে খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। এরপর তিনি আবার ফিরে আসেন ইউএনসিতে এবং দুই বোনের সঙ্গে যোগ দেন।
অ্যাশলি এর আগে স্ট্যানফোর্ড থেকে দল পরিবর্তন করে গত বছর ইউএনসিতে আসেন।
ক্লোই, যিনি ২০২৩ সালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ছিলেন, ইনজুরির কারণে প্রথম বছর খেলতে পারেননি, তবে ফিরে এসে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন।
আমার কোনো কথা বলার ভাষা নেই। এটা অবিশ্বাস্য। আমার বোনদের সঙ্গে এই জয় উদযাপন করতে পারাটা ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো।
শুধু হামফ্রে পরিবারই নয়, এই দিনটিতে ইতিহাস গড়েছেন কোচ জেনি লেভির পরিবারও।
কোচের মেয়ে কেটও এই দলের সদস্য ছিলেন এবং একটি গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
মা ও মেয়ের একসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনা ক্রীড়া ইতিহাসে বিরল।
এটা অসাধারণ। আমি আমার দলের জন্য খুবই খুশি। তারা সারা বছর প্রাণপণে লড়েছে। নর্থওয়েস্টার্নকেও অভিনন্দন, তারা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
এই জয় প্রমাণ করে, খেলাধুলা শুধু শারীরিক দক্ষতার বিষয় নয়, বরং পরিবারের বন্ধন ও আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও বটে।
তথ্য সূত্র: পিপলস