**Category 4 ঘূর্ণিঝড় এরিন আটলান্টিকে: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের এক দৃষ্টান্ত**
আটলান্টিক মহাসাগরে দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় এরিন এখন একটি শক্তিশালীCategory 4 ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। শনিবার সকালে এরিনের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৩০ মাইল।
বর্তমানে এটি উত্তর-পূর্ব ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এর প্রভাবে ঐ অঞ্চলের দ্বীপগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত, দমকা হাওয়া এবং উত্তাল সমুদ্র দেখা যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এরিন সরাসরি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানবে না, তবে এর প্রভাবে লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ, ভার্জিন আইল্যান্ডস এবং পুয়ের্তো রিকোতে খারাপ আবহাওয়া দেখা দিতে পারে। এই দ্বীপগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যার পরিমাণ ২ থেকে ৪ ইঞ্চি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও তা ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা বা ভূমিধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড সেন্ট জন এবং সেন্ট টমাস-এর বন্দর এবং পুয়ের্তো রিকোর ৬টি সমুদ্রবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। এরিনের গতিপথের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চল এবং বারমুডার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতেও এর প্রভাব পড়তে পারে, সেখানে উত্তাল ঢেউ এবং স্রোতের সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটলান্টিকের উষ্ণ জলরাশির কারণে এরিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এরিন উত্তর দিকে মোড় নিতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, যা উদ্বেগের কারণ। গত বছর আটলান্টিক অঞ্চলে হেলেন ও মিল্টন সহ ৯টি ঘূর্ণিঝড় দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করেছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, সাধারণত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা বেশি থাকে। এই বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরেও ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি সবসময় থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে, যা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলার মতো ভয়াবহ দুর্যোগের স্মৃতি এখনো আমাদের মনে আছে।
এই পরিস্থিতিতে, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন