প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘কিকো’ দুর্বল হয়ে পড়ছে, তবে এর প্রভাবে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এখনো সমুদ্র উত্তাল থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উত্তর দিক দিয়ে বয়ে যাবে। এতে দ্বীপগুলোতে শক্তিশালী বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমে আসবে, কিন্তু সমুদ্রের ঢেউ বেশ বিপদজনক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় কিকো’র কেন্দ্র হাওয়াই দ্বীপের হিলো শহর থেকে প্রায় ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার ও বুধবার নাগাদ এটি দ্বীপপুঞ্জের উত্তর দিক দিয়ে অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার, যা শনিবারের তুলনায় কিছুটা কম।
শনিবার বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। ধীরে ধীরে সমুদ্রের ঠান্ডা পানির দিকে অগ্রসর হওয়ার কারণে আগামী দিনগুলোতে ঘূর্ণিঝড়টি আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের জন্য কোনো উপকূলীয় সতর্কতা জারি করা হয়নি।
তবে, ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, দ্বীপগুলোতে সরাসরি আঘাত হানার ঝুঁকি কমলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি আবহাওয়ার গতিবিধির ওপর নজর রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, দ্বীপগুলোর পূর্ব দিকের সমুদ্র উপকূলগুলোতে ১০ থেকে ১৫ ফুট (৩ থেকে ৪.৫ মিটার) পর্যন্ত উঁচু ঢেউ উঠতে পারে।
এর ফলে সেখানে শক্তিশালী স্রোত তৈরি হতে পারে, যা জীবনহানির কারণও হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সমুদ্রের কাছাকাছি যাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস