স্বামীর সিদ্ধান্তে পরিবারে ভাঙন: ভ্রমণের সিদ্ধান্তে হতবাক স্ত্রী!

শিরোনাম: ঋণের বোঝা মাথায়, ইউরোপ ভ্রমণে অটল স্বামী: সন্তানেরা দ্বিধাবিভক্ত

সংসার জীবনে আর্থিক বিষয় নিয়ে মতের অমিল প্রায়ই দেখা যায়, কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির মধ্যেকার বিবাদ চরম আকার ধারণ করেছে। স্বামীর ইউরোপ ভ্রমণে জেদের কারণে পরিবারে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে সন্তানেরাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে মুখ খুলেছেন এক নারী, যিনি ‘এক্সহস্টেডপेंगুইন’ ছদ্মনামে পরিচিত।

জানা গেছে, এই দম্পতির প্রতি বছর ইউরোপ ভ্রমণে যাওয়ার রীতি রয়েছে। ট্রেনে চেপে বিভিন্ন দেশ ঘোরা তাদের পছন্দের তালিকায় ছিল। কিন্তু এবার বিপত্তি বাধে যখন স্ত্রী জানান, তাদের পক্ষে এত অর্থ খরচ করা সম্ভব নয়।

কারণ, বাড়ির সংস্কারের জন্য তারা বিশাল অঙ্কের ঋণ করেছেন, যা পরিশোধ করতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংস্কার বাবদ তাদের ৮০ হাজার ডলারের বেশি খরচ হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৪ লাখ টাকার সমান। হাতে কোনো সঞ্চয়ও নেই।

স্ত্রী যখন তাদের যুক্তরাজ্যের একটি ছোট কটেজে এক সপ্তাহের ছুটি কাটানোর প্রস্তাব দেন, স্বামী তখন তাতে রাজি হননি। তিনি জানান, তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন এবং একটি ভালো ছুটি তার প্রাপ্য।

স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী তাকে বোঝেন না এবং তার মতো এত পরিশ্রম করেন না—এমন কথা প্রায়ই বলেন।

বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। এমনকি স্বামী তার সন্তানদের জানান, স্ত্রী তাদের সঙ্গে ভ্রমণে যেতে চান না। এরপর সন্তানদের পছন্দের ওপর নির্ভর করে ভ্রমণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এতে মেয়ে বাবার সঙ্গে যেতে রাজি হলেও, ছেলে মায়ের সঙ্গেই থাকতে চায়।

পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায় যখন স্বামী, স্ত্রীর অমতে, সন্তানদের জন্য ইউরোপ ভ্রমণের টিকিট বুক করেন। মায়ের আশঙ্কা, এতে তাদের ঋণের বোঝা আরও বাড়বে।

অনলাইনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে অনেকেই স্ত্রীর প্রতি সমর্থন জানান। তাদের মতে, স্বামীর এমন সিদ্ধান্তে পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

এই ঘটনার জেরে পরিবারে যে মানসিক অশান্তি তৈরি হয়েছে, তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। যেখানে একদিকে আর্থিক চাপ, অন্যদিকে সম্পর্কের টানাপোড়েন—এই উভয় সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করা জরুরি।

বিশেষ করে, পরিবারের শান্তি বজায় রাখতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আলোচনা এবং সমঝোতার মানসিকতা থাকা অপরিহার্য। এছাড়াও, ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর্থিক বিষয়গুলোতে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *